সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত করতে অভিযান শুরু র‍্যাবের ‘এলিট টাইগার্সের’

সুন্দরবন

সুন্দরবনে সাম্প্রতিক সময়ে তৎপর হওয়া নব্য বনদস্যুদের বিরুদ্ধে র‍্যাব বিশেষ অভিযান শুরু করেছে। শনিবার দুপুরে শুরু হওয়া এই অভিযানে নামা র‍্যাবের বিশেষ দলটিকে ‘এলিট টাইগার্স’ বলা হচ্ছে।

র‍্যাব-৬-এর কোম্পানি কমান্ডার পুলিশ সুপার মো. বদরুদ্দোজা জানান, এলিট টাইগার্স অভিযানের মাধ্যমে নব্য বনদস্যুদের চিহ্নিত করে তাদের গ্রেপ্তার করা হবে। দস্যুমুক্ত সুন্দরবনের স্থায়িত্ব রক্ষার জন্য কোস্টগার্ড, নৌ পুলিশ ও বন বিভাগের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনার স্থান বাছাই করা হবে। এ জন্য আত্মসমর্পণ করা বনদস্যুদের সঙ্গে সমন্বয় করে জরুরি প্রয়োজনে বনদস্যুদের বিরুদ্ধে ঝটিকা অভিযান পরিচালনা, মৎস্যজীবীদের নিরাপত্তাবিষয়ক তথ্য সংগ্রহ ও নিরাপত্তার বিষয়ে আশ্বস্ত করা হবে। পাশাপাশি এ সময়ে দরিদ্র মৎস্যজীবীদের শীতবস্ত্র বিতরণসহ মানবিক সহায়তা দেওয়া হবে।

১০ দিন ধরে একটি নব্য বাহিনীর পরিচয়ে বনদস্যুরা মুক্তিপণের দাবিতে সুন্দরবনে একের পর এক জেলেদের অপহরণ করছে।

র‍্যাবের একাধিক দল সুন্দরবনের শরণখোলা, জয়মনি, বড়ইতলা, আন্ধারমানিক, মৃগামারি এলাকাসহ বনের শ্যালা নদীর বিভিন্ন শাখায় অভিযান চালাবে। এ ছাড়া অভিযানের জন্য র‍্যাবের আরেকটি দলকে একটি স্পিডবোট, ট্রলারসহ পূর্ণ প্রস্তুতি সহকারে স্ট্যান্ডবাই রাখা হয়েছে। তিন দিনের এই বিশেষ অভিযান প্রয়োজনে বর্ধিত করা হবে বলে র‍্যাব কর্মকর্তা বদরুদ্দোজা জানান।

এর আগে র‍্যাবের অভিযানে একের পর এক বনদস্যু বাহিনীগুলো আত্মসমর্পণের পর ২০১৮ সালের ১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত ঘোষণা করেন। এরপর চার বছর ধরে শান্ত ছিল সুন্দরবনের পরিবেশ। ১০ দিন ধরে একটি নব্য বাহিনীর পরিচয়ে বনদস্যুরা মুক্তিপণের দাবিতে সুন্দরবনে একের পর এক জেলেদের অপহরণ করছে।

১৫ ডিসেম্বর রাতে বনদস্যু দল সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের বেড়ীর খাল ও হরমাল খাল এলাকা থেকে ১৫ জেলেকে মুক্তিপণের দাবিতে অপহরণ করে। অপহরণের ছয় দিন পর মুক্তিপণ দিয়ে দস্যুদের কবল থেকে অপহৃত জেলেরা ছাড়া পান। এ বিষয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর হয়।

Sign up for the Newsletter

Join our newsletter and get updates in your inbox. We won’t spam you and we respect your privacy.