ছবিতে বাঁশের পর্দা বানানোর গল্প
বাঁশের পর্দা বানানোর জন্য সঠিক দূরত্ব মেপে দড়ি বসাচ্ছেন এক নির্মাতা । ছবিঃ ইয়াসমিন আক্তার
গ্রীষ্মের কাঠফাটা রোদের অতিষ্ঠতা থেকে মুক্তি পেতে অনেকেই ঘরে লাগান এসি বা এয়ারকুলার। কিন্তু এগুলো মধ্যবিত্তের অনেকের সামর্থ্যের বাইরে হওয়ায় তারা ঘর শীতল রাখতে বেছে নিয়েছেন এক ভিন্ন পদ্ধতি। কক্সবাজারের বেশকিছু বাড়ির বারান্দায় তাকালে চোখে পড়ে বাঁশের পর্দা ঝুলছে। কেউ কেউ এগুলো লাগিয়েছেন বাইরের রোদ, তাপ থেকে ঘরকে ঠান্ডা রাখতে। কেউ আবার বাঁশের পর্দা ঝুলিয়েছেন শখের গাছকে রোদের হাত থেকে রক্ষা করতে।
আধুনিক নাগরিক জীবনকে প্রকৃতির ছোঁয়ায় সাজিয়ে তুলতে অনেক রেস্তোরাঁয় লাগানো হয় বাঁশের পর্দা। গ্রামে একসময় বাঁশ দিয়ে তৈরি পর্দার ব্যবহার ছিল প্রচুর। কিন্তু কালক্রমে এই ঐতিহ্য এখন ফিকে হয়ে গেছে। তবে কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফ এলাকার বেশকিছু মসজিদের বারান্দায়ও দেখা মেলে এমন সব বাঁশের পর্দা। স্থানীয় ভাষায় এর নাম ”বারা”। কক্সবাজারের রাজাপালং ইউনিয়নের হাতিমোড়া এলাকায় বাঁশের পর্দা বানানোর দৃশ্য নিয়ে আমাদের এই পর্বের ছবির গল্প।
ছবিগুলো তুলেছেন ইয়াসমিন আক্তার।