ছবির গল্প

একটি শুটকিপল্লীর আত্মকথা

সাগড় থেকে সদ্য তোলা মাছগুলোকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে শুকানোর জন্য প্রস্তুত করতে। ছবিঃ আবিদ মোহাম্মদ মাহাদী

বাংলাদেশের সর্বদক্ষিণের জেলা কক্সবাজারের একটি শুটকী পল্লী হল ‘নাজিরার টেক’ বা ‘নাজিরার টেক শুঁটকি পল্লী’। ইতিহাস বলছে, এখানে শুঁটকি ব্যবসার শুরু হয় ১৯৮৭ সালে এবং স্থানীয়ভাবে এটি ‘চ্যাং’ নামে পরিচিত।

এই পর্বের ছবির গল্পে পাঠকেরা ঘুরে আসতে পারবেন সেই শুটকী পল্লী থেকে। দেশের সবচেয়ে বড় শুঁটকি পল্লী এই নাজিরারটেক। এর যোগান দিতেই প্রতিদিন গড়ে ৫০০ টন মাছ নামে এই ঘাটে।

এই শুটকী পল্লীর পশ্চিমে একটু এগিয়ে মহেশখালী চ্যানেল মিশেছে সাগরে। বাঁয়ে দক্ষিণ-পশ্চিমে এগিয়ে যাওয়া সাদা বালুর সৈকতটা খা খা। এখানে-ওখানে কাকড়ার গর্ত। গর্তের পাশে পাশে আল্পনা। এখান থেকেই শুরু বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত। সামনে ডায়াবেটিক পয়েন্ট সৈকত, তারপর শৈবাল পয়েন্ট। তারপর লাবণী ছাড়িয়ে সুগন্ধা, আরও সামনে কলাতলী। ওখান থেকেই শুরু মেরিন ড্রাইভ রোড। হিমপরির দরিয়ানগর পেরিয়ে হিমছড়ি, তারপর ইনানী, সবশেষে টেকনাফে শাহ পরীর দ্বীপ। ১২০ কিলোমিটার দীর্ঘ সৈকতের ওখানেই শেষ।

মহেশখালী চ্যানেলের মোহনার মুখে শুরু হওয়া সৈকতের পাশে বিশাল চর। বর্ষায় এই চর চলে যায় পানির নিচে। সাগর তখন চলে যায় শুঁটকি পল্লীর অনেক কাছে। এই শুটকী পল্লীর প্রতিটি মানুষের আলাদা আলাদা গল্প আছে। আছে চাপা কষ্ট। তবুও তাঁরা নিয়তিকে মেনে নিয়ে প্রতিদিন কাজ করে যায় শুটকী তৈরীতে। আর এই শুটকী ছড়িয়ে যায় সারা দেশে।

ছবিগুলো তুলেছেন আবিদ মোহাম্মদ মাহাদী

মাছগুলোকে বাছাই করে শুকাতে দেয়ার জন্য প্রস্তুত করছেন শুটকিপল্লীতে কর্মরত এক নারী
মাছগুলোকে ভালোভাবে নেড়ে রোদে শুকানো হচ্ছে
শুটকিতে বানানোর জন্য মাছগুলোকে কেটে রোদে শুকাতে দেয়া হয়েছে
রোদে শুকাতে দেয়া মাছ

মাছ যখন শুকিয়ে শুটকিতে রূপান্তরিত হয় তখন সেগুলোকে ঢেকে দেয়া হয় বিক্রির জন্য নিয়ে যাওয়ার জন্য
শুটকি প্রস্তুত, এবার বাজারজাতকরণের পালা
শুটকিপল্লী থেকে শুটকি প্রস্তুত শেষে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্রির জন্য বাজারে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে

Sign up for the Newsletter

Join our newsletter and get updates in your inbox. We won’t spam you and we respect your privacy.