দৌলতদিয়ার ঘাটে গাড়ির অপেক্ষায় অলস সময় পার করছে ফেরি
একটা সময় ছিল যখন দৌলতদিয়ার ঘাটে যানবাহনের দীর্ঘ সারি ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষায় থাকতো ফেরির। ঈদের সময় সেই ভোগান্তি বেড়ে যেত কয়েকগুণ। কিন্তু এবারের ঈদে দেখা যাচ্ছে ভিন্ন চিত্র। গাড়ির অপেক্ষায় বসে থাকতে থাকতে অলস সময় পার করছে এ রুটের ফেরিগুলো।
মঙ্গলবার সকালে দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটে গেলে দেখা যায়, স্বজনদের সঙ্গে ঈদ উদযাপন শেষে কর্মস্থলে ফিরছে মানুষ। তবে ঘাট এলাকায় ছিল না আগের মতো সেই মানুষের হাকডাক। ছিল না যানজট কিংবা ভোগান্তি। পদ্মা সেতু চালুর পর থেকে পুরনো সেই জৌলুস হারিয়েছে দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার প্রবেশদ্বার হিসেবে পরিচিত দৌলতদিয়া ফেরি ঘাট। এখন ঘাটে নেই যাত্রী ও যানবাহনের চাপ।
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন বলেন, ঈদের ছুটি শেষে কর্মস্থলে ফিরছে মানুষ। তবে ঘাটে যানবাহন কিংবা যাত্রীর কোন চাপ নেই। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বাড়তে পারে। তবে ভোগান্তিতে পড়তে হবে না ফেরি ঘাটে এসে। এই নৌরুটে ছোট-বড় মিলে ২০টি ফেরি চলাচল করছে।
তিনি বলেন, “সত্যি বলতে দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে আগের মতো যানবাহনের কোনো চাপ নেই, নেই কোনো ভোগান্তি। ফেরি অপেক্ষায় থাকছে গাড়ির। দীর্ঘ সময় ধরে অপেক্ষার পরেও যাত্রী ও যানবাহন না পেয়ে অর্ধেক জায়গা ফাঁকা রেখেই মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ঘাটের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাচ্ছে।”
মোটরসাইকেল আরোহী মাজেদ মোল্লা বলেন, ঈদ শেষে ফরিদপুর থেকে কর্মস্থলে ফিরছি। সড়কে কোনো ভোগান্তি নেই, ঘাটও ফাঁকা। আগে যেখানে ফেরির জন্য অপেক্ষায় থাকতে হতো গাড়িকে, সেখানে এখন উল্টো চিত্র দেখা যাচ্ছে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে ফেরিকে।
রাজবাড়ী থেকে ছেড়ে আসা রাবেয়া পরিবহনের যাত্রী তানিয়া নাসরিন বলেন, “ঈদের আগে সড়ক ও ফেরি ঘাটে কোন ভোগান্তি ছিল না। ঈদ শেষে ফেরার পথেও নেই কোনো ভোগান্তি। ঘাটে আসার সাথে সাথে বাস ফেরিতে উঠেছে। সড়ক এবং ঘাটের পরিস্থিতি ভালো থাকায় আমরা খুবই খুশি।”
যশোর থেকে আসা রাকিবুল ইসলাম বলেন, “পদ্মা সেতু চালুর পর থেকে চাপ কমে গেছে দৌলতদিয়া ঘাটে। ফেরি বসে থাকছে গাড়ির জন্য। ঈদের ছুটি শেষ হলেও তেমন যাত্রী ও যানবাহনের চাপ না থাকায় স্বস্তিতে পদ্মা পার হতে পারছি।”
কোনো ধরণের ভোগান্তি ছাড়া নির্বিঘ্নে পদ্মা পাড়ি দিতে কর্মস্থলে ফেরা মানুষসহ সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ব্যবস্থাপক সালাহউদ্দিন।