পোশাক কারখানায় বেড়েছে সবুজ প্রযুক্তির ব্যবহার
পোশাক শিল্পে সবুজ প্রযুক্তির ব্যবহার ও জ্বালানি দক্ষতা বৃদ্ধির পাশাপাশি শ্রমিকের ন্যায্য মজুরি, মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করণে সমন্বিত কর্মসূচির উপর গুরুত্ব দিতে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
বর্তমানে পোশাক শিল্পের ৩০ শতাংশ শ্রমিক মনে করেন তাদের কারখানায় সবুজ প্রযুক্তি ব্যবহার বেড়েছে। ৪০ শতাংশ শ্রমিক সবুজ প্রযুক্তির সম্পর্কে অবগত রয়েছে। ৮৫ শতাংশ শ্রমিক মনে করেন পোশাক কারখানা সবুজায়ন বাড়ানো হলে তাদের চাকরি নিরাপত্তা বাড়বে। গতকাল শুক্রবার দ্যা ডেইলি স্টার সেন্টারে আয়োজিত এক কর্মশালায় এসব তথ্য দেন বক্তারা। এসময় বক্তারা পোশাক শিল্পে সবুজ প্রযুক্তির ব্যবহার ও জ্বালানি দক্ষতা বৃদ্ধির পাশাপাশি শ্রমিকের ন্যায্য মজুরি, মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করণে সমন্বিত কর্মসূচির উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। বাংলাদেশ অক্যুপেশনাল সেফটি হেলথ এন্ড এনভায়রনমেন্ট ফাউন্ডেশন (ওশি ফাউন্ডেশন) এই কর্মশালার আয়োজন করে। এতে সহযোগিতা করে জার্মান ভিত্তিক উন্নয়ন সহযোগি সংস্থা এফইএস। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ওশি ফাউন্ডেশনের ভাইস চেয়ারপারসন ড. এস এম মোর্শেদ।
এতে জ্বালানি খাতের পরামর্শক প্রতিষ্ঠান গ্রীনবাডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সাঈদ তাসনিম মাহমুদ “পোশাক খাতে এনার্জি ট্রানজিশন বিষয়ক গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন। এসময় তিনি বলেন, ‘জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবেলা, পরিবেশ বান্ধব পণ্য উৎপাদনের জন্য ক্রেতা গোষ্ঠিরর শর্তপূরণ, আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার এবং শ্রমিকের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য পোশাক কারখানা সবুজায়ন সম্প্রসারণ করতে হবে। বাংলাদেশে অনবায়নযোগ্য উৎসের ঘাটতি, ভৌগলিক অবস্থান জনিত সুবিধার কারণে নবায়নযোগ্য শক্তির প্রাপ্যতা, স্বল্পমূল্যে সোলার প্যানেল স্থাপনের সুবিধা, এবং গ্রীন হাউজ গ্যাস নিঃসরণ কমাতে সরকারের অঙ্গীকারের কারণে কারখানার সবুজায়ন প্রক্রিয়াকে উৎসাহিত করা হচ্ছে।’
কর্মশালায় জ্বালানি দক্ষতা খাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি, নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার উৎসাহিত করণ, সরকারি বেসরকারি অংশীদারিত্ব বাড়ানো, ভোক্তার চাহিদা বিবেচনা, নবায়নযোগ্য শক্তির মাধ্যমে জ্বালানির চাহিদা পূরণ, পোশাক খাতে সবুজ প্রযুক্তির জন্য কৌশলপত্র প্রণয়ন এবং বিদ্যমান এনার্জি পলিসি ফ্রেমওয়ার্ক আধুনিকায়নে সুপারিশ করা হয়।
কর্মশালায় পোশাক খাতে কর্মরত শ্রমিক ও মালিকের প্রতিনিধি, শ্রমিক সংগঠন, গবেষণা সংস্থা, উন্নয়ন সহযোগি সংস্থা ও গণমাধ্যমের ৩০ জন প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।