‘হৃদয়ে মানবতা কণ্ঠে কবিতা’

‘হৃদয়ে মানবতা কণ্ঠে কবিতা’ শিরোনামে গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমির মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে দেশের জনপ্রিয় আবৃত্তিশিল্পী অঞ্চল চৌধুরী’র একক আবৃত্তি অনুষ্ঠান। এই আবৃত্তি সন্ধ্যার আয়োজন করে একুশ।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমাণ্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা ফাহিম উদ্দিন; বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধ গবেষণা ট্রাস্ট, চট্টগ্রামের ট্রাস্টি বীর মুক্তিযোদ্ধা জাহেদ আহাম্মদ; বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক রীতা দত্ত; নাট্যজন প্রদীপ দেওয়ানজী, জেলা শিল্পকলা একাডেমি, চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম বাবু; সম্মিলিত আবৃত্তি জোট, চট্টগ্রামের সভাপতি আবৃত্তিশিল্প ফারুক তাহের। এছাড়া আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন চিকিৎসক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, শিক্ষাবিদসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ। আয়োজন পৃষ্ঠপোষকতায় ছিলেন আর. কে. মিউজিক একাডেমি, পেপার ইয়ারপ্লেইন এবং বিজনেস মিডিয়া। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন একুশ সাধারণ সম্পাদক অনির্বাণ চৌধুরী জিকু।

আয়োজনের শুরুতেই অঞ্চল চৌধুরীর জীবনী ভিডিও চিত্রে উপস্থাপন করা হয়। শিল্পীকে শ্রদ্ধা জানানো হয় বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুলের ‘অঞ্জলি লহো মোর’ গানে; গান পরিবেশন করেন আর. কে. মিউজিক একাডেমির কর্ণধার আর. কে. জুয়েল চক্রবর্তী-সহ এক ঝাঁক শিল্পী এবং নাচ পরিবেশন করেন একুশ সদস্য উদিতা ভট্টাচার্য্য। এরপর চন্ডী পাঠের মধ্য দিয়ে শুরু হয় আবৃত্তির মূল আয়োজন। শিল্পী সাময়িক পরিস্থিতি, প্রকৃতি, দেশ, প্রেম, দ্রোহ, ও ইতিহাসমাখা ২৮টি কবিতা আবৃত্তি করবেন। তাঁর পরিবেশনায় ছিলো সুপ্রভাত (রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর), আমার গ্রাম জয়নগর (রবীন্দ্র গোপ), বৃষ্টি প্রিয় মা (আকতার হোসাইন), পাখির সঙ্গে (বিশ্বজিৎ চৌধুরী), রঙ্গশালা (রাম চন্দ্র দাস), শহীদ মিনার গড়বো (ওমর কায়সার), আবার আসিব ফিরে (জীবনানন্দ দাশ), ভালবাসা যাযাবর (তরুণ চট্টোপাধ্যায়), বিদ্রোহী (কাজী নজরুল ইসলাম), পাঁচটিক্কা থইলা (উৎপলকান্তি বড়ুয়া), দুই হতিনর কইজ্যা (উৎপলকান্তি বড়ুয়া), কবিতা (জসীম উদ্‌দীন), নামকরণ (অন্নদাশংকর রায়), স্বাধীনতা এই শব্দটি কীভাবে আমাদের হল (নির্মলেন্দু গুণ), ভালোবাসি আমি আমার এই দেশ (রাশেদ রউফ), একটি মুজিব (আ. ফ. ম. মোদাচ্ছের আলী), একটি মোরগের কাহিনী (সুকান্ত ভট্টাচার্য), তোমাকে পাওয়ার জন্যে হে স্বাধীনতা (শামসুর রাহমান), মানুষ খুঁজি (সুকুমার বড়ুয়া), আলামত (আসাদ চৌধুরী), কর্ণ-কুন্তী-সংবাদ (রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর), তোমরা নেই তুমি নেই (মাহবুব উল আলম চৌধুরী), এমন একটা সময় ছিল (সংগৃহীত), আমার পরিচয় (সৈয়দ শামসুল হক), বাতাসে লাশের গন্ধ (রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ), কতদূর বাংলাদেশ (শিহাব শাহরিয়ার), জল তরঙ্গ (অরণি বসু) এবং সর্বশেষ পরিবেশনা ছিল ছবি (রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর)।

অঞ্চল চৌধুরী আবৃত্তি উৎসর্গ করেন তাঁর সহ-ধর্মিনী স্বর্গীয়া শিল্পী বৈদ্যের প্রতি। আয়োজনে সহ-শিল্পী হিসেবে ছিলেন কাবেরী সেনগুপ্তা (সঙ্গীত শিল্পী), তিলোত্তমা সেনগুপ্ত (নৃত্য শিল্পী), অনন্যা চৌধুরী পিউ (আবৃত্তি শিল্পী), এ্যানি দে (কারুশিল্পী), দীপিতা দেব তমা (চিত্র শিল্পী), প্রাপ্তি দাশ (চিত্র শিল্পী) ও প্রাচী কর্মকার (চিত্র শিল্পী)। পরিবেশনা শেষে গুণী এই আবৃত্তিশিল্পীকে উত্তরীয় ও স্মারক উপহার তুলে দিয়ে শুভেচ্ছা জানান বীর মুক্তিযোদ্ধা ফাহিম উদ্দিন। এরপর সম্মিলিত আবৃত্তি জোট, চট্টগ্রাম; বোধন আবৃত্তি পরিষদ; উচ্চারক আবৃত্তি কুঞ্জ; তারুণ্যের উচ্ছ্বাস ও স্পৃহা আবৃত্তি নীড় ফুল ও উপহারে শুভেচ্ছা জানান। একুশের সভাপতি ডা. শ্যামল কর্মকারের ব্ক্তব্যের মধ্য দিয়ে অয়োজনের সমাপ্তি ঘটে।

Sign up for the Newsletter

Join our newsletter and get updates in your inbox. We won’t spam you and we respect your privacy.