কুয়াশায় ৪ ঘণ্টা বন্ধের পর দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ফেরি চালু

কুয়াশাচ্ছন্ন দৌলতদিয়ার ৫ নম্বর ফেরিঘাট। আজ বুধবার সকালে । ছবি : সংগৃহীত

মৌসুমে দ্বিতীয়বারের মতো ঘন কুয়াশার কারণে প্রায় চার ঘণ্টা দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল। আজ বুধবার ভোররাত চারটা থেকে সকাল আটটা পর্যন্ত রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া নৌপথে ফেরিসহ সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ ছিল। ফেরি বন্ধ থাকায় ওই সময় দৌলতদিয়া প্রান্তে চারটি এবং পাটুরিয়া প্রান্তে ছয়টি ফেরি নোঙর করে রাখা হয়েছিল।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর থেকে কুয়াশা পড়তে শুরু করে। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কুয়াশার মাত্রাও বাড়তে থাকে। কুয়াশা উপেক্ষা করে রাতে ফেরি চলাচল করছিল। তবে ভোররাতের দিকে কুয়াশার ঘনত্ব বেড়ে গেলে ফেরি চালানো কঠিন হয়ে পড়ে। দুর্ঘটনার ঝুঁকি এড়াতে ভোররাত চারটার দিকে ফেরি বন্ধের ঘোষণা দেয় কর্তৃপক্ষ। এ সময় দৌলতদিয়া প্রান্তে দুটি রো রো (বড়) ও দুটি ইউটিলিটি (ছোট) ফেরি নোঙর করে রাখা হয়। অন্যদিকে পাটুরিয়া প্রান্তে ছোট-বড় মিলিয়ে নোঙর করে রাখা হয় আরও ছয়টি ফেরি।

আবার কুয়াশা কমতে শুরু করলে সকাল আটটার দিকে ফেরিগুলো ঘাট ছাড়তে শুরু করে। এদিকে ঘন কুয়াশার কারণে গতকাল রাত থেকে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল থেকে ঢাকাগামী তেমন গাড়ি না আসায় দৌলতদিয়া প্রান্তে গাড়ির জটলা ছিল না। একইভাবে পাটুরিয়া প্রান্তে রাজধানী থেকে ছেড়ে আসা দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলগামী গাড়ি চাপও তেমন ছিল না।

বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া কার্যালয়ের সহকারী ব্যবস্থাপক মো. খোরশেদ আলম বলেন, মৌসুমে দ্বিতীয়বারের মতো কুয়াশার কারণে ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল। চার ঘণ্টার মতো ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় উভয় ঘাটে কিছু যানবাহন আটকা পড়েছে। তবে সকাল আটটার দিকে ফেরি ছাড়লে অল্প সময়ের মধ্যেই দ্রুত ঘাটে যানবাহনের চাপ কমে যায়।

চার ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর সকাল আটটার দিকে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে
চার ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর সকাল আটটার দিকে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে 

এদিকে গতকাল রাত থেকে নৌপথের পাশাপাশি সড়কপথেও কুয়াশার কারণে যান চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হয়। গাজীপুর থেকে ব্যক্তিগত উদ্যোগে রাতে ফরিদপুরের উদ্দেশে রওনা দেন শামসুল হক। গতকাল রাত সাড়ে ১১টার দিকে তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন, কুয়াশার কারণে গাড়ির হেডলাইট জ্বালিয়েও কাজ হচ্ছিল না। তাই সর্বোচ্চ ২০ কিলোমিটার গতিতে সতকর্তার সঙ্গে গাড়ি চালাতে হচ্ছিল তাঁকে। সড়কের কোথাও কোথাও ঘন কুয়াশার কারণে সামান্য কয়েক ফুট দূরের কিছুই দেখা যাচ্ছিল না।

Sign up for the Newsletter

Join our newsletter and get updates in your inbox. We won’t spam you and we respect your privacy.