থানায় গিয়ে স্বামীকে কুপিয়ে হত্যার বর্ণনা দিলেন স্ত্রী

পটুয়াখালীতে স্বামীকে কুপিয়ে হত্যা করে নিজেই থানায় যান স্ত্রী। শুক্রবার সন্ধ্যায় শহরের কলাতলা এলাকার মীম আক্তার (১৯) তার স্বামী রাকিব (২৫) কুপিয়ে হত্যা করে থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেছেন।

এ ঘটনায় পুলিশ মীম আক্তারকে তাদের হেফাজতে নিয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।

পুলিশ জানায়, মীম আক্তার তার স্বামীকে খুন করে পটুয়াখালী সদর থানায় গিয়ে দায়িত্বরত অফিসারকে তার স্বামী রাকিবকে হত্যা করার বিষয়টি অবহিত করেন। পরে পুলিশ তার কাছ থেকে বাসার ঠিকানা নিয়ে ঘটনাস্থলে এসে তার স্বামীর মৃতদেহ উদ্ধার করে। এ সময় নিহত রাকিবের মাথায় কোপের চিহ্ন পাওয়া গেছে। আশেপাশের লোকজনও বিষয়টি টের পায়নি।

খুন হওয়া ব্যক্তির ছোট ভাই ঘটনাস্থলের একটু দূরে মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত থাকলে সেও টের পায়নি। এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। তবে কেন কি কারণে এ ঘটনা ঘটেছে তা পুলিশ বলতে পারেনি।

নিহতের পিতা মো. নজরুল ইসলাম বলেন, বৃহস্পতিবার মীমসহ আমার ছেলে শ্বশুরবাড়ি থেকে এসেছে। শুক্রবার বিকালে আমার  আট বছরের ছোট ছেলে পাভেল ঝগড়া শোনে। পরে আমি মীমের কাছে জিজ্ঞাসা ঝগড়ার কথা স্বীকার করে এবং রাকিব ঘুমিয়েছে বলে জানায়। পরে মাগরিবের নামাজ শেষে করে মসজিদ থেকে বের হলে ছোট ছেলে পাভেল এসে বলে বাসায় পুলিশ এসেছে আমি বাসায় এসে দেখি আমার ছেলেকে কুপিয়ে মেরে ফেলছে। আমি এর বিচার চাই।

নিহত রাকিবের মা গত তিন মাস আসে তাদের গ্রামের বাড়ি ভোলা জেলার লালমোহনে বেড়াতে গিয়েছে। গত ২০ বছর যাবত পটুয়াখালী পৌরসভায় কলাতলা আকন বাড়িতে ভাড়া নজরুল ইসলাম জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের পশ্চিম পাশে হারবাল ওষুধ বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করে বলে জানা গেছে। নিহত রাকিব বয়লার মুরগির ব্যবসা করত বলে জানান তার প্রতিবেশীরা।

স্বজনরা জানান, রাকিব ও মিমের মধ্যে দীর্ঘদিন প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ছয় মাস আগে তারা বিয়ে করেন। বিয়ের পর তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ শুরু হয়।

Sign up for the Newsletter

Join our newsletter and get updates in your inbox. We won’t spam you and we respect your privacy.