আশ্রয়কেন্দ্রে ছুটছে উপকূলের মানুষ

প্রবল ঘূর্ণিঝড় রেমাল থেকে বাচঁতে চট্টগ্রামের উপকূলীয় বিভিন্ন এলাকার মানুষ ছুটছেন আশ্রয়কেন্দ্রে।  শনিবার (২৫ মে) রাত থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ১০ হাজার মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন।এছাড়া উপকূলীয় আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে প্রায় এক হাজার গরু, ছাগল, মহিষ ও ভেড়া নিয়ে আসা হয়েছে। এদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন দ্বীপ উপজেলা সন্দ্বীপে।

রোববার (২৬ মে) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে পাঠানো এক তালিকা থেকে এসব তথ্য জানা যায়।  

জানা গেছে, চট্টগ্রামে ১০৩৪টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এরমধ্যে সন্দ্বীপ উপজেলায় ১৬২ টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে সেখানে পুরুষ ১ হাজার ৯৫৫ জন, মহিলা ২ হাজার ৮৫ জন, শিশু ৯৬৬ জন ও ৫ জন প্রতিবন্ধী আশ্রয় নিয়েছেন। এছাড়া বাঁশখালী উপজেলায় ১১৭ টি আশ্রয়কেন্দ্রে পুরুষ ৯৫৭ জন, মহিলা ৯৩০ জন, শিশু ২১২ জন আশ্রয় নিয়েছেন। আনোয়ারা উপজেলায় ১৫ টি আশ্রয়কেন্দ্রে পুরুষ ২২৫ জন, মহিলা ২৩০ জন ও শিশু ১৫০ জন। মিরসরাই উপজেলায় ৭৯ টি আশ্রয়কেন্দ্রে পুরুষ ৩৯৭ জন, মহিলা ২০৫ জন, শিশু ৪৫ জন ও একজন প্রতিবন্ধী আশ্রয় নিয়েছেন। সীতাকুণ্ড উপজেলায় ৫৯টি আশ্রয় কেন্দ্রে পুরুষ ৪৫৭ জন, মহিলা ৩৯৭ জন ও শিশু ১৩৫ জন আশ্রয় নিয়েছেন।

আশ্রয়কেন্দ্রের পাশাপাশি জেলা সিভিল সার্জন ইউনিয়ন পর্যায়ে ২০০টি, প্রতিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৫টি, আর্বান ডিসপেন্সারি ৯টি এবং ৫টি জেনারেল হাসপাতালসহ মোট ২৯৫টি মেডিকেল টিম গঠন করেছেন। মজুত রাখা হয়েছে পানি বিশুদ্ধকরণের জন্য প্রায় তিন লাখ ট্যাবলেট ও চার লাখ খাবার স্যালাইন।

এদিকে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক সন্দ্বীপ, আনোয়ারা, বাঁশখালী, মীরসরাই, সীতাকুণ্ড ও কর্ণফুলী উপজেলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের বিশেষভাবে প্রস্তুতি গ্রহণ করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে চট্টগ্রামে ব্যাপক বর্ষণ ও পূর্ণিমার কারণে তীব্র জলোচ্ছ্বাসের শঙ্কা থাকায় উপকূলবর্তী ও পাহাড়ি এলাকা থেকে লোকজনকে দ্রুত সময়ের মধ্যে সরিয়ে নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট ইউএনও এবং সহকারী কমিশনারদের (ভূমি) নির্দেশনা দিয়েছেন জেলা প্রশাসক।

Sign up for the Newsletter

Join our newsletter and get updates in your inbox. We won’t spam you and we respect your privacy.