চাচাতো বোনকে বিয়ে করায় চাচার হাতেই খুন সৌরভ

চাচাতো বোন ইসরাত জাহান ইভাকে গোপনে বিয়ে করায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ওমর ফারুক সৌরভ চাচার হাতে নৃশংসভাবে খুন হন। তবে যার জন্য এই খুন, সেই ইভা সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে এসেছে। তিন বছর আগে কানাডা প্রবাসী আব্রাহাম নামে এক যুবককে বিয়ে করেন ইভা। পরে সৌরভের সঙ্গে বিয়ে নিয়ে ঝামেলা হওয়ায় কানাডায় আব্রাহামের কাছে চলে যান তিনি।

মঙ্গলবার (৪ জুন) দুপুরে সৌরভ হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত চাচা ইলিয়াস উদ্দিনসহ তিনজনকে গ্রেফতারের বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার (এসপি) মাছুম আহাম্মদ ভূঞা।

গ্রেফতার অন্য দু’জন হলেন, ইলিয়াস উদ্দিনের শ্যালক আহাদুজ্জামান ফারুক ও মরদেহ বহনকারী প্রাইভেটকারের চালক আব্দুল হান্নান আকন্দ। ঢাকা ও ময়মনসিংহে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করে ডিবি ও থানা পুলিশ।

পুলিশ জানায়, সৌরভের সাথে বিয়ের বিষয়টি মেনে নিতে পারেনি ইভার পরিবার। ইভার বাবা অর্থাৎ সৌরভের চাচা ইলিয়াস একজন সাবেক সেনাবাহিনী কর্মকর্তা ছিলেন।

পরে গত ১ জুন সন্ধ্যায় ঢাকা থেকে ময়মনসিংহ আসে সৌরভ। ইভার ভাই তাকে কল দিয়ে গোহাইলকান্দি এলাকার বাসায় ডেকে নিয়ে যায়। পরে ইলিয়াস এবং তার শ্যালক আহাদুজ্জামান ফারুক মিলে প্রথমে ছুরি দিয়ে মাথায় আঘাত করে তাকে হত্যা করে। পরে মরদেহ বাথরুমে রেখে দেয়া হয়। এরপর চাপাতি দিয়ে তার দেহ কয়েক টুকরো করা হয়।

পরবর্তীতে, মরদেহ লুকানোর জন্য ময়মসিংহের গাঙ্গিনারপার এলাকা থেকে একটি নতুন লাগেজ কিনে নিয়ে আসেন তারা। লাগেজের দোকানের সিসিটিভি দুটেজ দেখেই মূলত খুনের সাথে তাদের সম্পৃক্ততার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়।

এরপর পুলিশ ও ডিবির যৌথ অভিযানে ঢাকা থেকে ইলিয়াসের শ্যালক আহাদুজ্জামান ফারুককে গ্রেফতার করা হয়, এবং পরে তার তথ্যের ভিত্তিতে ধোবাউড়ার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে নিহত সৌরভের চাচা ইলিয়সকে গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় প্রাইভেট কার চালক হান্নানকেও পরে আটক করা হয়।

পুলিশ আরও জানায়, গত ১২ মে সৌরভের সাথে ইভার বিয়ের পর গত ১৬ মে তাকে কানাডায় পাঠিয়ে দেয়া হয়। স্টুডেন্ট ভিসায় তিনি কানাডা গিয়েছেন বলেও জানানো হয়।

Sign up for the Newsletter

Join our newsletter and get updates in your inbox. We won’t spam you and we respect your privacy.