খুলনায় দুর্বৃত্তের গুলিতে ইউপি চেয়ারম্যান নিহত
খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলার শরাফপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শেখ রবিউল ইসলাম রবিকে (৩৭) গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। শনিবার (৬ জুলাই) রাত ১০ টার দিকে গুটুদিয়া ওয়াপদার ব্রীজের পূর্বপাশে তাকে গুলি করা হয়। মটরসাইকেল যোগে তিনি খুলনার বাসায় ফিরছিলেন। নিহত রবি ডুমুরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য।
পুলিশ ও পরিবারের লোকজন জানায়, শনিবার বিকেলে ডুমুরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের কর্মী সভা ছিলো। তিনি সেই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে। রাত ১০ টা পর্যন্ত উপজেলা সদরে বিভিন্ন কাজ সারেন। এরপর রাত ১০টার দিকে একা মটরসাইকেল যোগে খুলনার বাসায় ফিরছিলেন। উপজেলার গুটুদিয়া ওয়াপদার ব্রীজের পূর্বপাশে পৌছালে কয়েকজন দুর্বৃত্ত তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে। এরমধ্যে তিনটি গুলি তার পিঠে লাগে। এতে তিনি ঘটনাস্থলেই পড়ে যান।
এর মধ্যে স্থানীয় লোকজন গুলির শব্দ পেয়ে এগিয়ে আসে। দুর্বৃত্তরা সেখান থেকে মটরসাইকেলযোগে দ্রুত পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে দ্রুত ডুমুরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সেখানে প্রচুর রক্তক্ষরণ হওয়ায় চেয়ারম্যান রবিউল ইসলামের অবস্থার অবনতি হতে থাকে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে। তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষনা করেন।
চেয়ারম্যান রবিউলের শ্যালক মনির হোসেন জানান, দুলাভাই ডুমুরিয়া থেকে খুলনায় ফিরছিলো। পথে গুটুদিয়ায় পৌছালে তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে সন্ত্রাসীরা। স্থাণীয়দের সহায়তায় তাকে প্রথমে ডুমুরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেখানে আনলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা মৃত ঘোষনা করেন। তিনি বলেন, দুলাভাই এলাকায় খুবই জনপ্রিয় ছিলো। তার এই জনপ্রিয়তাই কাল হলো। আমরা এর বিচার চাই।
ডুমুরিয়া থানার ওসি সুকান্ত সাহা বলেন, খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে যাই। কিন্তু সেখানে কোনো রক্তের চিহ্ন পাইনি। তিনি গুলিতে না সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন, প্রাথমিকভাবে তা তিনি নিশ্চিত করতে পারেননি ওসি।
খুলনার পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ সাঈদুর রহমান বলেন, আমরা লোকমুখে শুনেছি, ইউপি চেয়ারম্যানের পিঠে গুলির দাগ রয়েছে। তবে পোস্টমর্টেম হওয়ার পর বলতে পারব তিনি কীভাবে মারা গেছেন।