করোনার টিকার চতুর্থ ডোজ নিতে চট্টগ্রামে সাড়া নেই
চট্টগ্রাম নগরীতে আজকে করোনার চতুর্থ ডোজের টিকা দেওয়া হয়।
চট্টগ্রামে করোনার টিকার চতুর্থ ডোজের জন্য নেই কোন সাড়া। আজ মঙ্গলবার টিকাদানের প্রথম দিনে ১৫ উপজেলায় করোনার টিকার চতুর্থ ডোজ নিয়েছেন ১০২ জন। নগরেও টিকার জন্য সাড়া নেই।
আজ মঙ্গলবার থেকে সারা দেশে করোনার টিকার চতুর্থ ডোজ দেওয়া শুরু হয়েছে। ষাটোর্ধ্ব, সম্মুখসারির করোনা যোদ্ধা, অসুস্থ এবং মুক্তিযোদ্ধাদের প্রাথমিকভাবে এই টিকা দেওয়া হচ্ছে। এটাকে করোনার টিকার দ্বিতীয় বুস্টার ডোজ নামেও অভিহিত করা হচ্ছে।
১৫টি উপজেলায় ১৫টি স্থায়ী কেন্দ্রে এই টিকা দেওয়া হচ্ছে। ফাইজারের টিকা মূলত দ্বিতীয় বুস্টার ডোজ হিসেবে দেওয়া হয়। আজ সর্বোচ্চ ৩০ ডোজ বুস্টার দেওয়া হয় লোহাগাড়া উপজেলায়। পাঁচ উপজেলায় এক ডোজ টিকাও দেওয়া হয়নি।
জানতে চাইলে সিভিল সার্জন মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌ্রোনা বলেন, দ্বিতীয় বুস্টার ডোজ কমসংখ্যক মানুষের জন্য। কোভিড যোদ্ধা এবং ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তিরা অগ্রাধিকার পাচ্ছেন। তাই এটা বেশি লোকের সাড়া দেওয়ার প্রয়োজনও নেই। টিকা কার্ড নিয়ে গিয়ে এই ক্যাটাগরির যে কেউ স্থায়ী কেন্দ্রে টিকা দিতে পারবেন।
আজ নগরের ১১টি কেন্দ্রেও টিকা দেওয়া হয়। কিন্তু বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত কত ডোজ বুস্টার দেওয়া হয়েছে, তার হিসাব মেলেনি। বেলা ১১টায় মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী সিটি করপোরেশন জেনারেল হাসপাতালে করোনার চতুর্থ ডোজ টিকার উদ্বোধন করেন। করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা সেলিম আকতার চৌধুরী বলেন, স্বল্পসংখ্যক লোককে এই টিকা দেওয়া হচ্ছে। চতুর্থ ডোজের পাশাপাশি দ্বিতীয় ও তৃতীয় ডোজের টিকাও দেওয়া হচ্ছে।