আমেরিকার স্কুলে মুঠোফোন ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা, ফল মিলল হাতেনাতে

করোনা মহামারির সময় ঘরবন্দী ছিল শিশুসহ অনেকেই। সময় কাটাতে অনেকেই ডিজিটাল বাক্সে বন্দী হয়ে পড়ে। বাদ যায়নি শিশুরাও। সময় কাটাতে ছোট্ট ডিজিটাল বাক্সে বন্দী হয়ে ছিল শিশুদের জীবন। পড়াশোনা থেকে গেম—সবকিছুই মুঠোফোনে চলছিল। এতে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছিল অনেক শিশু। এ জন্য স্কুলেও মুঠোফোন নিত শিশুরা। এবার আর তা হচ্ছে না যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটির ম্যাসাচুসেটসের বাক্সটন স্কুলেই বন্ধ হলো মুঠোফোনের ব্যবহার। পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ এবং তাদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের কথা বিবেচনা করেই এমন সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ।

স্কুল কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের কারণ ছিল, মুঠোফোন ব্যবহারের কারণে শিক্ষার্থীরা ক্রমে অসামাজিক হয়ে পড়ছিল। তাদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে প্রভাব পড়ছিল। কারণ, শিক্ষার্থীরা খেলত না, মুঠোফোনে ব্যস্ত থাকত। তাই তাদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে বড় এ সিদ্ধান্ত নেয় স্কুল কর্তৃপক্ষ। দুই মাসেই সুফল পেয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ।

এ বছরের সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে স্কুল চত্বরের ১১৪ একর এলাকায় স্মার্টফোন ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। শিক্ষার্থী, শিক্ষক-শিক্ষিকা ও অশিক্ষক কর্মীরাও স্কুল চত্বরে মুঠোফোন ফোন ব্যবহার করতে পারবেন না। এ কারণে যেসব শিক্ষার্থী বাড়ি থেকে স্কুলে আসে, তারা ফোন নিয়ে স্কুলে আসতে পারবে না। আর যারা ডরমিটরিতে থাকে, তারা স্কুলে এসেই জমা রাখবে মুঠোফোন। এ সিদ্ধান্তের সুফল মিলেছে। এখন আর কেউ মুঠোফোনে ব্যস্ত থাকে না।  

তবে মুঠোফোন ব্যবহার করতে না পারলেও প্রয়োজনে কম্পিউটার ব্যবহার করতে পারবে শিক্ষার্থীরা।  

বাক্সটন হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক পিটার ব্যাক বলেন, মুঠোফোনে ব্যস্ত থাকায় সামনাসামনি মিথস্ক্রিয়া হচ্ছিল না। স্কুলে এসেও স্মার্টফোনেই সময় কাটাচ্ছিল। তারা নিজেদের মধ্যেও কথা বলে না। কীভাবে গল্প করতে হয়, সেটা ভুলে যাচ্ছিল শিশুরা। ছাত্ররা সব সময় মুঠোফোন নিয়ে একা একা বসে থাকত। এতে স্কুলের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছিল। কয়েক মাস আগে মুঠোফোন ব্যবহারের নিষেধাজ্ঞা জারি করায় ছাত্ররা আবার স্বাভাবিক হচ্ছে। স্কুলের পরিবেশও ফিরে এসেছে। তথ্যসূত্র: নিউইয়র্ক পোস্ট

Sign up for the Newsletter

Join our newsletter and get updates in your inbox. We won’t spam you and we respect your privacy.