যুদ্ধজাহাজ অনুপ্রবেশ অবিলম্বে বন্ধ না করলে যুক্তরাষ্ট্রকে মারাত্মক পরিণতি ভোগ করতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে চীন।
দক্ষিণ চীন সাগরে ফের মার্কিন যুদ্ধজাহাজ, পরিণতি ভোগের হুঁশিয়ারি চীনের
দক্ষিণ চীন সাগরে প্যারাসেল দ্বীপপুঞ্জের কাছে আবারও যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধজাহাজ অনুপ্রবেশের অভিযোগ করে এটিকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছে চীন।
এমন উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ড বন্ধ না করলে যুক্তরাষ্ট্রকে মারাত্মক পরিণতি ভোগ করতে হবে বলে হুঁশিয়ারিও দিয়েছে দেশটি।
চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, তাদের সমুদ্রসীমায় যুক্তরাষ্ট্রের ডেস্ট্রয়ার ইউএসএস মিলিয়াস যুদ্ধজাহাজ শুক্রবার অনুপ্রবেশ করেছে। এর আগে বৃহস্পতিবারও যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধজাহাজ নজরে পড়ায় সেটিকে তাড়িয়ে দেওয়ার দাবি করেছিল চীন।
শুক্রবার আবারও একই দাবি করে চীনা প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এক বিবৃতিতে বলেছেন, “আমরা কঠোরভাবে যুক্তরাষ্ট্রকে এ ধরনের উসকানিমূলক কাজ অবিলম্বে বন্ধ করার দাবি জানাচ্ছি। অন্যথায়, যুক্তরাষ্ট্র এর অপ্রত্যাশিত মারাত্মক পরিণতি ভোগ করবে।”
চীন বৃহস্পতিবার মার্কিন যুদ্ধজাহাজ তাড়িয়ে দেওয়ার যে দাবি করেছিল তা অস্বীকার করে যুক্তরাষ্ট্র বলেছিল, তাদের ডেস্ট্রয়ারটি দক্ষিণ চীন সাগরে নিয়মিত মিশন পরিচালনায় আছে। এটিকে তাড়ানো হয়নি।
শুক্রবার চীনের একই দাবির জবাবে মার্কিন নৌবাহিনী বলছে, তাদের যুদ্ধজাহাজ সমুদ্রপথে এর চলাচলের অধিকার এবং স্বাধীনতার অধিকার মধ্যে থেকেই কাজ করছে।
মার্কিন সপ্তম নৌবহর এক বিবৃতিতে বলেছে, “দক্ষিণ চীন সাগর নিয়ে চীনের বেআইনি দাবির কারণে সেখানে সমুদ্রপথের স্বাধীনতা, মুক্ত নৌ-চলাচল, অবাধ বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সুযোগ-সুবিধা লাভের ক্ষেত্রে মারাত্মক হুমকি সৃষ্টি হয়েছে।”
মার্কিন নৌবাহিনী আরও বলেছে, দক্ষিণ চীন সাগরে নিয়মিতই নৌযান পরিচালনা করে থাকে তারা।
দক্ষিণ চীন সাগরে বাড়তে থাকা উত্তেজনার মধ্যে দুই পরাশক্তির মধ্যে টানা দ্বিতীয় দিন এমন বাদানুবাদ দেখা গেল।
প্রায় গোটা দক্ষিণ চীন সাগরের ওপরই সার্বভৌমত্ব দাবি করে আসছে চীন। তাদের পাশাপাশি ফিলিপিন্স, ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া ও ব্রুনাইও দক্ষিণ চীন সাগরের মালিকানা দাবি করে আসছে।
দক্ষিণ চীন সাগরের জলপথ দিয়ে প্রতি বছর হাজার হাজার কোটি ডলারের বাণিজ্য হয়ে থাকে।