বাখমুত দখলের দাবি ওয়াগনার, ইউক্রেনের অস্বীকার
ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন বাখমুত
ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল বাখমুত নিয়ন্ত্রণে নিতে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে তুমুল লড়াই চলছে। ইউক্রেন বাহিনী বাখমুত ধরে রাখতে মরিয়া হয়ে লড়ছে। অপরদিকে রাশিয়াও হামলা অব্যাহত রেখেছে। এই অবস্থায় রাশিয়ার ভাড়াটে ওয়াগনার গ্রুপ দাবি করেছে তারা বাখমুত দখল করে ফেলেছে। তবে ইউক্রেন ওই দাবি অস্বীকার করেছে। খবর টিআরটি ওয়ার্ল্ড।
রাশিয়ার ওয়াগনার ভাড়াটে গোষ্ঠীর প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিন বলেছেন, তার বাহিনী ইউক্রেনের বাখমুত শহরের প্রশাসনিক ভবনের ওপর রাশিয়ার পতাকা উড়িয়ে দিয়েছে। টেলিগ্রাম মেসেজিং অ্যাপে প্রেস সার্ভিসের পোস্ট করা একটি অডিও বার্তায় তিনি বলেন, আইনি দৃষ্টিকোণ থেকে বাখমুত এখন রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে। শত্রুরা পশ্চিম অংশে কেন্দ্রীভূত।
তবে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা এখনও শহরটিকে নিয়ন্ত্রণ করছে। ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীর জেনারেল স্টাফ নিজ ফেসবুক পেজে বলেছেন, শত্রুরা বাখমুতে হামলা বন্ধ করেনি। তবে ইউক্রেনীয় সেনারা সাহসের সঙ্গে শহরটিকে ধরে রেখেছে। তারা শত্রুর অসংখ্য আক্রমণ প্রতিহত করেছে।
এদিকে রাশিয়ার কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র ন্যাটো প্রতিবেশী বেলারুশের সীমান্তের কাছাকাছি মোতায়েন করা হবে। বেলারুশে নিযুক্ত রাশিয়ান রাষ্ট্রদূত বরিস গ্রিজলভ ইউক্রেনে মস্কোর হামলা নিয়ে রাশিয়া ও পশ্চিমের মধ্যে উত্তেজনার মধ্যেই এই তথ্য জানালেন।
বরিস গ্রিজলভের মন্তব্য ন্যাটো দেশগুলো লক্ষ্য করে কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র স্থাপনের পরিকল্পনা সম্পর্কে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সাম্প্রতিক বিবৃতির সত্যতা প্রমাণ করল। পুতিনের এই ঘোষণা ইউক্রেনকে সমর্থন করা থেকে পশ্চিমাদের নিরুৎসাহিত করার প্রচেষ্টা বলে মনে করা হচ্ছে।
পুতিন বলেন, বেলারুশে কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্রের গুদাম নির্মাণকাজ আগামী ১ জুলাইয়ের মধ্যে শেষ হবে। রাশিয়া বেলারুশিয়ান যুদ্ধবিমানকে পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম করার জন্য আধুনিকায়নে সহায়তা করেছে।
বেলারুশিয়ান রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে গতকাল গ্রিজলভ বলেন, ন্যাটো সদস্য লাটভিয়া, লিথুয়ানিয়া ও পোল্যান্ডের সঙ্গে বেলারুশের ১২৫০ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে। রাশিয়ান পারমাণবিক অস্ত্রগুলো বেলারুশের পশ্চিম সীমান্তের কাছে নিয়ে যাওয়া হবে। পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েন রাশিয়ার প্রতিরক্ষা সক্ষমতাকে প্রসারিত করবে। তবে সুনির্দিষ্ট অবস্থানের কথা তিনি স্পষ্ট করেননি।