যুক্তরাজ্য ও জার্মান রাষ্ট্রদূতকে তলব ইরানের
গত তিন মাসের কম সময়ের মধ্যে ১৫ বার বিদেশি রাষ্ট্রদূত তলব করল ইরান । ছবি: রয়টার্স
তেহরানে নিযুক্ত যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে ইরান। খবর এএফপি।
ইরানে চলমান বিক্ষোভ ইস্যুতে গতকাল শনিবার ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত সাইমন শেরক্লিফকে তলব করে তেহরান। এ নিয়ে গত তিন মাসের কম সময়ের মধ্যে ১৫ বার বিদেশি রাষ্ট্রদূত তলব করল ইরান।
দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আইআরএনএ জানায়, একই ইস্যুতে গত শুক্রবার তেহরানে নিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত হান্স-উডো মুজেলকেও তলব করে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
গত ১০ সপ্তাহে তেহরান যে রাষ্ট্রদূতদের তলব করেছে, তাঁদের বেশিরভাগই পশ্চিমা দেশের।
আইআরএনএ জানায়, ইরানের বিরুদ্ধে নজিরবিহীন চাপ সৃষ্টির পরিপ্রেক্ষিতে দেশটিতে নিযুক্ত বিদেশি রাষ্ট্রদূত তলব করে তেহরান কূটনৈতিক প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে।
কঠোর বিধি মেনে হিজাব না পরার অভিযোগে গত ১৩ সেপ্টেম্বর ইরানের রাজধানী তেহরানে কুর্দি তরুণী মাসা আমিনিকে (২২) গ্রেপ্তার করে নীতি পুলিশ। গ্রেপ্তারের পর পুলিশি হেফাজতে ১৬ সেপ্টেম্বর তিনি মারা যান। নির্যাতনে মাসার মৃত্যু হয়েছে দাবি করে ইরানের মানুষ রাস্তায় নেমে আসেন। মাসার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে শুরু হওয়া বিক্ষোভ ইরানজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে।
ইরানে এই বিক্ষোভ শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত তেহরানে নিযুক্ত যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্রদূতকে পাঁচবার তলব করা হয়েছে।
আইআরএনএ বলেছে, সন্ত্রাস ও অস্থিরতায় যুক্তরাজ্যের সমর্থনের প্রতিবাদ জানিয়েছে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ইরানের ওপর যুক্তরাজ্যের নিষেধাজ্ঞা জারিরও প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।
শুক্রবার ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দেশটিতে নিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূতকে তলব করে। সেপ্টেম্বর থেকে এখন পর্যন্ত চারবার জার্মান রাষ্ট্রদূতকে তলব করল তেহরান। ইরানের বিষয়ে জার্মানির অগ্রহণযোগ্য হস্তক্ষেপের ব্যাপারে চরম আপত্তি প্রকাশ করেছে তেহরান।
চলমান বিক্ষোভকে ‘দাঙ্গা’ বলে অভিহিত করে আসছে তেহরান। তারা বলছে, বিদেশি শত্রুরা এই বিক্ষোভে উৎসাহিত করেছে।
মানবাধিকারকর্মীরা বলছেন, ইরানে নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে এ নিয়ে তিন শতাধিক বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছেন। গ্রেপ্তার হয়েছেন হাজারো ব্যক্তি। এ ছাড়া বিক্ষোভে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে কয়েকজনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে একজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে বলে জানা গেছে।