ত্রাণ নিতে আসা ফিলিস্তিনিদের ওপর গুলি, নিহত ১১২
ছবি সংগৃহীত
গাজায় ত্রাণ সাহায্য নিতে আসা মানুষের ওপর ইসরাইলের নৃশংস নিধনযজ্ঞের জন্য ইসরাইলি বাহিনীকে দায়ী করে আনা একটি প্রস্তাব আটকে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। আরব দেশগুলো জাতিসঙ্ঘ নিরাপত্তা পরিষদে প্রস্তাবটি এনেছিল। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের বাধার কারণে প্রস্তাবটি পাস হতে পারেনি।
জাতিসঙ্ঘে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত রিয়াদ মনসুর নিরাপত্তা পরিষদের রুদ্ধদ্বার বৈঠকের পর সাংবাদিকদের বলেন যে পরিষদের ১৫ সদস্যের মধ্যে ১৪ সদস্যই সমর্থন দিয়েছিল। নিরাপত্তা পরিষদে আরবদের প্রতিনিধিত্বকারী আলজেরিয়ার আনা প্রস্তাবটিতে সমর্থন দেয়নি কেবল যুক্তরাষ্ট্র।
যুক্তরাষ্ট্রের উপ-রাষ্ট্রদূত রবার্ট উড সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ঘটনাস্থলে কী ঘটেছিল, সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য আমাদের কাছে নেই। এটাই ছিল সমস্যা।
এদিকে গাজার এই ঘটনাকে ‘গণহত্যা’ হিসেবে অভিহিত করে হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মোট ১১২ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৭৬০ জন আহত হয়েছে।
গাজা সিটির পশ্চিমাংশে আল-নাবুসির আশেপাশে এই ঘটনা ঘটেছে।
ইসরাইলের সামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে, গাজার উত্তরাঞ্চলে ত্রাণ বন্টনের সময় ট্রাক থেকে ত্রাণসামগ্রী সংগ্রহ করতে গিয়ে ধাক্কাধাক্কি ও পদপিষ্ট হয়ে কয়েক ডজন মানুষ আহত হয়েছে। এই সামরিক বাহিনী আরো বলেছে, ঘটনাটি পর্যালোচনা করা হচ্ছে।
গাজার উত্তরাঞ্চলে স্থল অভিযান চালানোর খবর জানিয়েছে ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনী। সেই সঙ্গে এই ভূখণ্ডের দক্ষিণাংশে খান ইউনিস এলাকায় বিমান হামলাও চালানো হয়েছে।
গত ৭ অক্টোবর যে সংঘাত শুরু হয়, তাতে গাজায় ৩০ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে শিশু ও নারীর সংখ্যাই ২১ হাজার। এ ছাড়া সাত হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিখোঁজ রয়েছে এবং আহত হয়েছে ৭০ হাজার ৪৫০ জন। হামাসের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য দেওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই ত্রাণ নিতে আসা লোকজনের ওপর গুলিবর্ষণের এ ঘটনা ঘটে।
এর আগে জাতিসংঘ হুঁশিয়ারি দিয়ে জানায়, গাজার উত্তরাঞ্চলে প্রায় তিন লাখ লোক নামেমাত্র খাবার ও পানি নিয়ে বসবাস করছে। পুরো এলাকা দুর্ভিক্ষের হুমকিরে মুখে রয়েছে বলে জানায় সংস্থাটি।