গাজার পর রাফাহতে ইসরায়েলের হামলা, নিহত ১১ ফিলিস্তিনি
এবার ফিলিস্তিনের সীমান্তবর্তী রাফাহ শহরের আশ্রয় শিবিরে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলের সশস্ত্র বাহিনী। এতে কমপক্ষে ১১ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। বর্বরোচিত এই হামলায় আরও অর্ধশত মানুষ আহত হয়েছেন বলে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। এই হামলার কয়েক ঘণ্টা আগে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলের হামলায় ১৭ জন নিহত হন। শনিবার (২ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
মূলত গাজা ভূখণ্ডে বিরামহীন ইসরায়েলি হামলা থেকে বাঁচতে মিশর সীমান্তবর্তী রাফাহ শহরের বিভিন্ন আশ্রয় শিবিরে অবস্থান করছেন লাখ লাখ বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি। তবে সেসব শিবিরে অনেকে কোনও জায়গা না পেয়ে তাঁবু-নির্মিত অস্থায়ী এসব আশ্রয় শিবিরে থাকতে বাধ্য হচ্ছেন।
গাজা ভূখণ্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, রাফাহ শহরের তাল আস-সুলতানের আল-হেলাল আল-ইমিরাতি মেটারনিটি হাসপাতালের প্রবেশপথের পাশে অবস্থিত তাঁবুতে শনিবারের ড্রোন হামলায় আরও অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, রাফাহ শহরের তাল আস-সুলতানের আল-হেলাল আল-ইমিরাতি মাতৃত্ব হাসপাতালের প্রবেশপথের পাশে অবস্থিত তাঁবুতে শনিবারের ড্রোন হামলায় আরও অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন।
মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, হাসপাতালের প্যারামেডিক ইউনিটের প্রধান আবদেল ফাত্তাহ আবু মারহি শনিবারের এ হামলায় নিহত হয়েছেন এবং আহতদের মধ্যে শিশুরাও রয়েছে।
রাফাহ থেকে আলজাজিরার হানি মাহমুদ বলেছেন, ‘একটি পুরো পরিবারসহ বাস্তুচ্যুত মানুষে পরিপূর্ণ একটি তাঁবু সরাসরি ড্রোন হামলার শিকার হয়েছে।’
তিনি বলেন, আটটি মৃতদেহ কুয়েত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ওই হাসপাতালের অবস্থা খুবই বিশৃঙ্খল, কারণ ছোট অবকাঠামো হওয়ায় সেটি প্রচুরসংখ্যক আহতকে স্বাস্থ্যসেবা পরিষেবা দেওয়ার জন্য অপ্রস্তুত।
পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন প্রত্যক্ষদর্শী বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, ‘সরাসরি একটি তাঁবুতে হামলা চালানো হয়েছে, যেখানে লোকেরা আশ্রয় নিয়েছিল। আমি এবং বন্ধুরা অলৌকিকভাবে বেঁচে গেছি।’
আলজাজিরা বলছে, হামলা থেকে বাঁচতে গত বছরের ডিসেম্বরে বাস্তুচ্যুত লোকদের তাল আস-সুলতান এলাকায় চলে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। রাফাহকে যে নিরাপদ অঞ্চল বলে বর্ণনা করা হচ্ছে তা আবারও মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে।