ইন্দোনেশিয়ায় হড়কা বান-ভূমিধসে নিহত অন্তত ১৮

ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিমাঞ্চলীয় সুমাত্রা দ্বীপে আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসে অন্তত ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া নিখোঁজ রয়েছেন আরও পাঁচজন।

শনিবার (৯ মার্চ) স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে এনডিটিভি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটির পশ্চিম সুমাত্রা প্রদেশের পেসিসির সেলাতান রিজেন্সি এলাকায় মুষলধারে বৃষ্টির কারণে আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে। এতে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ সেখানকার প্রায় ৪৬ হাজার মানুষকে অস্থায়ী আশ্রয় শিবিরে সরিয়ে নিতে বাধ্য হয়েছে। প্রাকৃতিক এই বিপর্যয়ে পেসিসির সেলাতান এলাকা থেকে ১৮ জনকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।

এক বিবৃতিতে পেসিসির সেলাতানের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থার ভারপ্রাপ্ত প্রধান ডনি ইউসরিজাল বলেছেন, সুতেরা জেলার লাংগাই গ্রামে দুজনের ও কোটো ইলেভেন তরুসান জেলায় সাতজনের মরদেহ পাওয়া গেছে। এ ছাড়া লেঙ্গায়াং থেকে একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

সুমাত্রার এই কর্মকর্তা বলেছেন, বর্তমানে সেলাতানের আবহাওয়া বৃষ্টিস্নাত রয়েছে। সেখানকার কিছু এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। যে কারণে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করা কঠিন হয়ে পড়েছে। কিছু এলাকায় বন্যায় আটকা পড়া লোকজনের কাছে পৌঁছানোর জন্য নৌকা ব্যবহার করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, ভূমিধসের কারণে অন্তত ১৪টি বাড়ি চাপা পড়েছে। বন্যায় ওই এলাকার ২০ হাজারেরও বেশি বাড়ি প্লাবিত হয়েছে এবং আটটি সেতু ভেঙে পড়েছে।

এদিতে, পাদাং প্যারিয়ামান রিজেন্সির স্থানীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার সংস্থা এক বিবৃতিতে বলেছে, পশ্চিম সুমাত্রার পাদাংয়ে বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার ভারি বর্ষণ হয়েছে। এর ফলে সেখানকার নদ-নদী উপচে লোকালয়ে বন্যার পানি ঢুকে পড়েছে। ভারি বর্ষণে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে ওই এলাকায় কমপক্ষে তিনজনের প্রাণহানি ঘটেছে।

ইন্দোনেশিয়ায় প্রায় প্রত্যেক বছরেই বর্ষা মৌসুমে বন্যা ও ভূমিধসের ঘটনা ঘটে। দেশটির কিছু এলাকায় বন উজাড়ের ফলে এই সমস্যা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। মুষলধারে টানা বৃষ্টিপাতের কারণে এই দ্বীপপুঞ্জের কিছু এলাকায় বন্যা দেখা দিয়েছে।

Sign up for the Newsletter

Join our newsletter and get updates in your inbox. We won’t spam you and we respect your privacy.