মুম্বাইয়ে আকস্মিক ধূলিঝড়, নিহত ১৪
ভারতের মুম্বাইয়ে আকস্মিক ধূলিঝড়ে একটি মেটাল বিলবোর্ডের নিচে চাপা পড়ে নিহত হয়েছেন ১৪ জন এবং আহত হয়েছেন ৭০ জনের বেশি মানুষ। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে পুলিশ।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে জানায়, স্থানীয় সময় সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টা নাগাদ হঠাৎই আকাশ কালো করে জোরালো ঝড় ওঠে মুম্বাইয়ে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই শুরু হয় ধূলিঝড়। সেই ঝড়ের ধাক্কায় ঘাটকোপর এলাকায় উপড়ে যায় একটি বিশালাকার ধাতব বিজ্ঞাপনের বোর্ড। ভেঙে পড়া সেই বিলবোর্ডের নিচে চাপা পড়ে অনেকেই।
ঘটনাস্থলের যেসব ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে তাতে দেখা যায়, বিলবোর্ডটি ভেঙে পড়ছে একটি পেট্রল পাম্পের ওপর। এতে দুমড়ে গিয়ে নিচে নেমে আসে পেট্রল পাম্পের ছাদ। চাপা পড়ে পেট্রল পাম্পে দাঁড়িয়ে থাকা কিছু গাড়িও।
বিলবোর্ডের ধাতব কাঠামো বহু গাড়ির ছাদ ফুঁড়ে ঢুকে যায়।
আয়তনের হিসাব করে পুলিশ তখনই জানিয়েছিল, বিলবোর্ডের নিচে অনেকে চাপা পড়ে থাকতে পারে। শুরু হয় উদ্ধারকাজ। অবশেষে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবেলা বাহিনীর প্রায় তিন ঘণ্টার চেষ্টায় সরানো যায় ধ্বংসস্তূপ। তবে ততক্ষণে ওই ঘটনায় মৃত্যু হয় তিনজনের, এরপর তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ জনে। উদ্ধার করা হয় ৬৭ জনকে।
তাদের অধিকাংশই আহত এবং অনেকেই ভর্তি রয়েছে হাসপাতালে। গণমাধ্যমটি জানিয়েছে, এ ঘটনায় মহারাষ্ট্র রাজ্যের সরকার বিশদ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে বলে জানিয়েছেন মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ।
এদিকে এই ঝড় ওঠার কিছুক্ষণ আগেই মহারাষ্ট্রের আবহাওয়া দপ্তর সতর্কবার্তা জারি করেছিল। প্রতিবেদন অনুসারে, আবহাওয়ায় বড় ধরনের কোনো পরিবর্তন হতে পারে বলে সতর্ক করা হয়েছিল মুম্বাই, পালঘর ও থানের বাসিন্দাদের। তার পরই কয়েক মিনিটের ওই ঝড়ে আরব সাগরের তীরের ঝকঝকে শহর তছনছ হয়ে যায়। ধুলোয় গোটা শহর ধূসর রূপ নেয়। একটা সময় দৃশ্যমানতা গিয়ে পৌঁছয় প্রায় শূন্যতে। ফলে থমকে যায় শহরের সব যান চলাচল। ঝড়ে মুম্বাই শহরের বহু গাছ, বিদ্যুতের খুঁটিও উপড়ে যায়। থমকে যায় রেল ও মেট্রো পরিষেবা।