দ্বিতীয় দফায় গড়ালো ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন

ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কেউ ৫০ শতাংশ ভোট না পাওয়ায় দ্বিতীয় দফা ভোট অনুষ্ঠিত হবে। শনিবার দুই কোটি ৪৫ লাখ বেশি ভোট গণনা শেষে এক কোটি ৪০ লাখ ভোটে এগিয়ে আছেন সংস্কারপন্থী মাসুদ পেজেশকিয়ান। 

৯৫ লাখ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন খামেনির সমর্থপুষ্ট কট্টরপন্থী সাঈদ জালিলি। তাই, আগামী শুক্রবার এই দুই প্রার্থীর মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে দ্বিতীয় দফার ভোট।

ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন দাঁড়িয়েছে এক জটিল সমীকরণে। কারণ,শনিবারের ফল ঘোষনায় কোনো প্রার্থীই এককভাবে ৫০ শতাংশ ভোট পায়নি, ফলে নির্বাচন গড়াচ্ছে দ্বিতীয় দফায়। 

এদিনের প্রাপ্ত ফলে, সংস্কারপন্থী মাসুদ পেজেশকিয়ান এক কোটি ৪০ লাখের বেশি ভোট পেয়ে আছেন প্রথম অবস্থানে। আর ৯৫ লাখ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে আছেন খামেনি সমর্থিত কট্টরপন্থী সাঈদ জালিলি। 

এখন নিয়ম অনুযায়ী এই দুজনের মধ্যেই আগামী শুক্রবার অনুষ্ঠিত হবে দ্বিতীয় দফার ভোট। করণ প্রথম দফার ফল ঘোষণার পর প্রথম যে শুক্রবারটি আসবে সেদিনই হবে পরবর্তী ধাপের ভোট হবে। এরমধ্য দিয়ে রাইসির উত্তরসুরী নির্বাচনে তৈরী নতুন আরেক মঞ্চ।

ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন বলছে, কোনো প্রার্থীই এককভাবে জয়ের সম্ভাবনা তৈরী করতে পারেনি। এমনকি বেশি আলোচনায় থাকা কট্টরপন্থী নেতা ও সংসদের স্পিকার মোহাম্মদ বাঘের ক্বালিবাফ পেয়েছেন মাত্র ৩৩ লাখ ভোট। 

সাঈদ জালিলি ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লা আলী খামেনির ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। তবে দিনশেষে প্রথম দফায় সংস্কারপন্থী পেজেশকিয়ানকেই বেশি সমর্থন দিয়েছে ইরানের মানুষ।

এর আগে, স্থানীয় সময় সকাল ৮ টায় শুরু হওয়া ভোট সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চলার কথা থাকলেও, দুই ঘণ্টা করে দুইদফা সময় বাড়িয়ে ভোট চলে রাত ১০টা পর্যন্ত।

এরপরও এবারের নির্বাচনে ভোট পড়েছে মাত্র ৪০ শতাংশের মতো। যা ১৯৭৯ সালে ইসলামি বিপ্লবের পর ইরানে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের মধ্যে সবচেয়ে কম ভোটার উপস্থতি। ২০২১ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোটার পড়েছিল ৪৮ শতাংশ। 

খামেনির নেতৃত্বে গঠিত কট্টরপন্থী কর্তৃপক্ষ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য ছয়জনকে প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দিয়েছিল। পরে দুজন নিজেদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেন। শেষ পর্যন্ত নির্বাচনের মাঠে লড়াই করেছেন চার প্রার্থী। 

Sign up for the Newsletter

Join our newsletter and get updates in your inbox. We won’t spam you and we respect your privacy.