ইতালীয়রা ভ্রমণের জন্য সৌদি আরবকে বেছে নিচ্ছেন কেন

সৌদি আরবের দর্শনীয় স্থান আল-উলা ঘুরে দেখছেন পর্যটকেরা । ছবি: রয়টার্স

সৌদি আরব ভ্রমণে শীর্ষ পাঁচ দেশের তালিকায় নাম এসেছে ইতালির। অবসর সময় কাটাতে ইতালির নাগরিকেরা বেছে নিচ্ছে সৌদি আরবকে। চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে প্রায় দেড় হাজার ইতালিয়ান মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতে ভ্রমণ করেছেন। খবর আল-আরাবিয়ার।

মূলত সৌদি আরবের বিভিন্ন প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য ইতালীয়দের আকৃষ্ট করে। ইতালির পর্যটকদের পছন্দের শীর্ষে আছে, রিয়াদ ও জেদ্দা শহর। এ ছাড়া আল-উলা নামের একটি প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানও পর্যটকদের নজর কেড়েছে।

পশ্চিমা দেশের পর্যটকদের মধ্যে সৌদি আরব ভ্রমণের প্রবণতা বাড়ছে
পশ্চিমা দেশের পর্যটকদের মধ্যে সৌদি আরব ভ্রমণের প্রবণতা বাড়ছে 

২০০২ সালে ইতালি থেকে সৌদি আরবে বাণিজ্যিকভাবে ভ্রমণ শুরু হয়। তখন হাতে গোনা কয়েকটি ট্রাভেল অপারেটর সৌদিতে গ্রুপ ট্যুরের ব্যবস্থা করে। এমন একটি প্রতিষ্ঠান বারতেলের পরিচালক ইলেওনোরা বারতুজ্জি বলেন, ইতালীয়দের দেশে ফিরে বলে তারা সৌদি আরব ঘুরে ব্যাপক উত্সাহী ও অবিশ্বাস্যভাবে বিস্মিত হয়েছেন।

ইলেওনোরা বারতুজ্জি ইতালির মিলান শহরে থাকেন। সেখানে ‘কেল-১২’ নামে যৌথভাবে শহরভিত্তিক একটি ট্যুর অপারেটর গড়ে তুলেছেন। তিনি বলেন, সত্যিকারের স্থানীয় ঐতিহ্য নিয়ে কাজ করতে আগ্রহী সৌদিদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয়।

বারতুজ্জি বলেন, সৌদি যাওয়ার আগে ইতালির পর্যটকেরা মনে করতেন ধর্মীয় কড়াকড়ি আরোপ থাকায় দেশটিতে গিয়ে কিছুই করার নেই। কিন্তু সেখানে যাওয়ার পরেই তাঁদের ভুল ভেঙে যায়। সেখানে গিয়ে তাঁরা একটি আধুনিক ও আকর্ষণীয় দেশ দেখতে পান। যেখানে জীবন উপভোগ করার ও আকর্ষণীয় কিছু করার দারুণ ইচ্ছা দেখা যায় তরুণদের মধ্যে। এই ট্যুর অপারেটর বলেন, ঘুরে যাওয়া ৫০ শতাংশ ইতালীয় বলেছেন যে তাঁরা আবারও সৌদিতে যেতে চান। এখন বিকল্প ভ্রমণপথ এবং গন্তব্য নিয়ে কাজ করা হচ্ছে।  সম্ভাব্য পর্যটন স্পটের মধ্যে ‘নেয়ম’ খুবই আকর্ষণীয় গন্তব্যে পরিণত হতে পারে।

ইলেওনোরা বারতুজ্জির মতে সৌদির পর্যটনশিল্প বিকাশে ইতালিয়ান পর্যটনের দারুণ ভবিষ্যৎ আছে। তবে বর্তমানে ইতালিয়ানদের জন্য সৌদি ভ্রমণ অনেক ব্যয়বহুল। তবে দাম কমানো নিয়ে কাজ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

Sign up for the Newsletter

Join our newsletter and get updates in your inbox. We won’t spam you and we respect your privacy.