আ.লীগের জাতীয় সম্মেলন, পুরোনোদের নিয়েই নতুন কমিটি

আওয়ামী লীগের নবনির্বাচিত সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের নেতা–কর্মীদের উদ্দেশে হাত নাড়েন। গতকাল রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন প্রাঙ্গণে । ছবি: বাসস

দশমবারের মতো আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি ১৯৮১ সাল থেকে দলীয় প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ওবায়দুল কাদের হ্যাটট্রিক করেছেন। বঙ্গবন্ধুর পর দ্বিতীয় ব্যক্তি হিসেবে ওবায়দুল কাদের টানা তিনবার সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হলেন।

আগে থেকেই আওয়ামী লীগের নেতারা আঁচ করছিলেন, এবার দলের নেতৃত্বে বড় কোনো পরিবর্তন আসবে না। হয়েছেও তা-ই। জাতীয় সম্মেলনের আগে হওয়া জেলা ও উপজেলা সম্মেলনেও বেশির ভাগ ক্ষেত্রে পুরোনোদের রেখে দেওয়া হয়েছে।

গতকাল শনিবার রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলন শেষে আগামী তিন বছরের জন্য নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। কমিটিতে সভাপতিমণ্ডলী থেকে তিনজন ও সম্পাদকমণ্ডলীর দুজন সদস্য বাদ পড়েছেন। সম্পাদকমণ্ডলী থেকে একজনের পদোন্নতি হয়েছে। আরেকজনের দায়িত্ব পরিবর্তন হয়েছে। এর বাইরে আর কোনো পরিবর্তন নেই। তবে নির্বাহী সদস্যের ২৮টি, সম্পাদকমণ্ডলীর ৩টি এবং সভাপতিমণ্ডলীর ২টি করে পদ বাকি আছে। অর্থাৎ ৮১ সদস্যের কমিটির ৪৮ জনের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। ফাঁকা ৩৩টি পদ পরে পূরণ করা হবে বলে জানিয়েছেন নবনির্বাচিত সভাপতি শেখ হাসিনা।

আবার সভাপতি নির্বাচিত হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সামনে নির্বাচন। তাই তিনি দলে বড় পরিবর্তন আনতে চাননি। তিনি আবেগপ্রবণ কণ্ঠে বলেন, ‘আমি ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না। বারবার আপনারা আমাকে দায়িত্ব দিচ্ছেন। আমি সাধ্যমতো চেষ্টা করছি। দলকে সুসংগঠিত করা এবং দেশ পরিচালনা কঠিন কাজ। তবু আমি এই দায়িত্ব মাথা পেতে নিচ্ছি।’

নতুন কমিটির নেতাদের নাম ঘোষণা শেষে শেখ হাসিনা বলেন, সামনে নির্বাচন। আওয়ামী লীগের জনসমর্থন আছে। তবে ভোটার আনতে হবে। দল সংগঠিত না হলে সেটা হবে না। সদস্য সংগ্রহ অভিযান বাড়াতে হবে। মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে, সেবা করতে হবে। ভবিষ্যতে নতুন নেতৃত্ব আনার আহ্বান জানিয়ে বক্তৃতা শেষ করেন তিনি।

যেভাবে কমিটি ঘোষণা

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রথম অধিবেশন শেষ হয় বেলা সোয়া একটার দিকে। এরপর বিরতি দিয়ে তিনটায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন প্রাঙ্গণে বসে কাউন্সিল অধিবেশন। প্রায় সাত হাজার কাউন্সিলরকে নিয়ে দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির মুলতবি বৈঠকে বসেন।

দেশের আটটি বিভাগ থেকে আটটি জেলার নেতাকে বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ দেন শেখ হাসিনা। এরপর কোষাধ্যক্ষ এইচ এন আশিকুর রহমান দলের বাজেট উপস্থাপন করেন। সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম ঘোষণাপত্র পাঠ করেন। সভাপতিমণ্ডলীর আরেক সদস্য আব্দুর রাজ্জাক হালনাগাদ গঠনতন্ত্র উপস্থাপন করেন। কাউন্সিলররা একে একে সব অনুমোদন দেন।

এ সময় শেখ হাসিনা বলেন, ‘যেখানেই থাকি না কেন, আমি আছি আপনাদের সঙ্গে। আমি চাই আপনারা নতুন নেতা নির্বাচন করুন। দলকে সুসংগঠিত করুন। নতুন আসতে হবে—এটা হলো সব সময়…। পুরাতনের বিদায়, নতুনের আগমন—এটাই চিরাচরিত নিয়ম।’

এ সময় ‘না’ ‘না’ বলে চিৎকার করেন কাউন্সিলররা। তাঁদের থামাতে না পেরে শেখ হাসিনা বলে ওঠেন, ‘এ রকম করলে তো হবে না।’ এরপর তিনি কেন্দ্রীয় কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনের আহ্বান জানান।

এর মধ্যেই সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যরা মঞ্চ থেকে নেমে সামনের সারিতে বসেন। মঞ্চে আরোহণ করেন নেতৃত্ব নির্বাচনের জন্য গঠিত নির্বাচন কমিশনের প্রধান ইউসুফ হোসেন হুমায়ূন, মসিউর রহমান ও শাহাবুদ্দিন।

ইউসুফ হোসেন হুমায়ূন প্রথমেই সভাপতি পদে নাম প্রস্তাব করার জন্য আহ্বান জানান। এ সময় কাউন্সিলররা একযোগে শেখ হাসিনার নাম বলে স্লোগান দিতে থাকেন। অধিবেশনের বাইরে থাকা নেতা-কর্মীরাও শেখ হাসিনার নামে স্লোগান দিতে থাকেন।

টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুর রহমান ফারুক সভাপতি পদে শেখ হাসিনার নাম প্রস্তাব করেন। যত দিন শেখ হাসিনা বেঁচে থাকবেন, তত দিন সভাপতি পদে তাঁকে চান বলে তিনি জানান। তখনো কাউন্সিলরদের মধ্যে স্লোগান অব্যাহত ছিল। এরপর এই প্রস্তাবে সমর্থন করেন দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি (সাবেক মন্ত্রী) মোস্তাফিজুর রহমান।

সভাপতি পদে আর কোনো প্রস্তাব না থাকায় পরবর্তী তিন বছরের জন্য এ পদে শেখ হাসিনা নির্বাচিত হওয়ার ঘোষণা দেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার।

সাধারণ সম্পাদক পদে ওবায়দুল কাদেরের নাম প্রস্তাব করেন নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক (খাদ্যমন্ত্রী) সাধন চন্দ্র মজুমদার। তা সমর্থন করেন ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পনিরুজ্জামান। এই পদে আর কোনো প্রস্তাব না থাকায় ওবায়দুল কাদেরকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার।

সভাপতি পদে শেখ হাসিনা ও সাধারণ সম্পাদক পদে ওবায়দুল কাদের পুনর্নির্বাচিত হওয়ার পর তাঁদের ফুল দিয়ে অভিনন্দন জানান দলের নেতারা।

বাদ পড়লেন যাঁরা

নতুন কমিটিতে বড় পরিবর্তন বলতে সভাপতিমণ্ডলী থেকে তিনজনের বাদ পড়া। তাঁরা হলেন নুরুল ইসলাম নাহিদ, আবদুল মান্নান খান ও রমেশ চন্দ্র সেন। এই তিনজনই বিভিন্ন সময় মন্ত্রী ছিলেন। মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়ার পর তাঁদের দলের সভাপতিমণ্ডলীতে নিয়ে আসা হয়। এর মধ্যে নাহিদ এক মেয়াদে এবং রমেশ চন্দ্র ও মান্নান খান দুই মেয়াদে সভাপতিমণ্ডলীতে ছিলেন। মান্নান খান অবশ্য দীর্ঘদিন অসুস্থ, দলীয় কর্মকাণ্ডে খুব একটা দেখা যায়নি।

সম্পাদকমণ্ডলীর মধ্যে শ্রমবিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ এবং যুব ও ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক হারুনুর রশীদ বাদ পড়েছেন। এই দুটি পদে কাউকে দায়িত্ব দেওয়া হয়নি।

সভাপতিমণ্ডলী ও সম্পাদকমণ্ডলী থেকে বাদ পড়া পাঁচজনকে উপদেষ্টা পরিষদে রাখা হয়েছে। আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্রে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যসংখ্যা ১৯। এর মধ্যে গতকাল মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিনকে নতুন করে সভাপতিমণ্ডলীতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। দুটি পদ ফাঁকা রয়েছে।

অন্যদিকে সম্পাদকমণ্ডলীর পদের সংখ্যা ৩৪। ত্রাণ ও সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দীকে সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়েছে। সাংগঠনিক সম্পাদক পদ থেকে বাদ পড়েছেন সাখাওয়াত হোসেন শফিক। ত্রাণ ও সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক করা হয়েছে আমিনুল ইসলামকে। সব মিলিয়ে সম্পাদকমণ্ডলীর তিনটি পদ এখনো ফাঁকা রয়েছে।

গত কমিটিতে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন মাহবুব উল আলম হানিফ, দীপু মনি, হাছান মাহমুদ ও আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম। এবারও তাঁরা একই পদে রয়েছেন।

দপ্তর, উপদপ্তর এবং কোষাধ্যক্ষ পদে কোনো পরিবর্তন আনা হয়নি। সাংগঠনিক সম্পাদক পদে শুধু একটিই পরিবর্তন। আর ২৮ সদস্যের নির্বাহী সদস্যের কারও নাম ঘোষণা করা হয়নি। দলের সভাপতিমণ্ডলীর বৈঠকের পর নির্বাহী সদস্যের পদ পূরণ করা হবে বলে জানান দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা।

উপদেষ্টা পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির অংশ নয়। তবে গতকাল ৫১ সদস্যের উপদেষ্টা পরিষদের বেশির ভাগের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। আগের কেউ বাদ যাননি। তবে যাঁরা মারা গেছেন, তাঁদের জায়গায় নতুনদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এখনো পদ ফাঁকা আছে।

এ ছাড়া দলের সংসদীয় বোর্ড ও স্থানীয় সরকার প্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের সদস্যদের নামও ঘোষণা করা হয়েছে।

তৃণমূলের মুখ থেকে যা এল

দ্বিতীয় অধিবেশনের শুরুতে আট বিভাগের আটজন বক্তৃতা করেন। এর মধ্যে জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বাকী বিল্লাহ প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে বলেন, ‘জাতীয় মুদ্রায় আপনার ছবি দেখতে চাই মাননীয় নেত্রী। আপনার ছবি বাংলাদেশের মুদ্রায় দেখলে আমরা শান্তি পাব।’

জবাবে আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, ‘টাকায় একমাত্র জাতির পিতার ছবি থাকবে।’

ঠাকুরগাঁও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাদেক কোরাইশী গত নির্বাচনের আগে ঠাকুরগাঁও জেলার উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী যেসব ওয়াদা করেছিলেন, তার সব প্রতিশ্রুতি আগামী নির্বাচনের আগে পূরণ করার আহ্বান জানান। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বাড়ি ঠাকুরগাঁওয়ে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ঠাকুরগাঁওয়ে বিএনপির মহাসচিবের পায়ের নিচে মাটি নেই। ঢাকায় বড় বড় কথা বলেন। গত নির্বাচনেও বিএনপির মহাসচিব ঠাকুরগাঁওয়ে হেরেছেন। আগামী নির্বাচনেও মির্জা ফখরুলকে লক্ষাধিক ভোটে পরাজিত করবেন বলে জানান।

বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবুর রহমান বলেন, ‘অনেকে দল বুকে লালন করছি, অনেকে দল বিক্রি করে খাচ্ছি। আগামীতে নির্বাচনে এ বিষয়গুলো বিবেচনা করে মনোনয়ন দিলে যতই মিথ্যাচার হোক, আপনার জয় কেউ ঠেকাতে পারবে না।’

চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী ও নড়াইল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুভাষ বোস বলেন, শেখ হাসিনার বিকল্প কেউ নেই।

সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেন, তাঁর এলাকায় গত নির্বাচনে জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আগামীতে নৌকা যেন ভাড়া না দেওয়া হয়। দলের যাঁকেই মনোনয়ন দেবেন, তাঁর পক্ষে আমরা কাজ করব।’

যেভাবে কাউন্সিলের শুরু

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় সম্মেলনস্থলে আসেন সকাল সাড়ে ১০টায়। এ সময় দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা তাঁকে স্বাগত জানান। এরপর জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। তখন দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা জাতীয় পতাকা এবং সাধারণ সম্পাদক দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন। একই সময় ৭৮টি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নিজ নিজ আসনের পাশে রাখা জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন। তারপর পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন ঘোষণা করেন শেখ হাসিনা।

শোক প্রস্তাব উপস্থাপন করেন দলের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া। স্বাগত বক্তব্য দেন অভ্যর্থনা কমিটির আহ্বায়ক শেখ ফজলুল করিম সেলিম। সাধারণ সম্পাদকের প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন ওবায়দুল কাদের। সভাপতি শেখ হাসিনার বক্তব্যের মধ্য দিয়ে সম্মেলনের প্রথম অধিবেশন শেষ হয়।

সম্মেলনে আওয়ামী লীগের শরিক ১৪-দলীয় জোটের নেতারা ছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। তবে বিএনপির কোনো নেতা আসেননি। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের ও সাধারণ সম্পাদক মুজিবুল হক, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন ও সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা, জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার, তরীকত ফেডারেশনের সভাপতি নজিবুল বশর মাইজভান্ডারি, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন, জাতীয় পার্টি-জেপির সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের কাদের সিদ্দিকী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দূতাবাসের কূটনীতিকেরাও অতিথির সারিতে ছিলেন।

সম্মেলন উপলক্ষে গতকাল সকাল থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা দলে দলে আসতে থাকেন। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানসহ আশপাশের এলাকায় সর্বোচ্চ নিরাপত্তাব্যবস্থা নেয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এবারের সম্মেলনে ২০৪১ সালের মধ্যে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার ঘোষণা দেওয়া হয়।

Sign up for the Newsletter

Join our newsletter and get updates in your inbox. We won’t spam you and we respect your privacy.