ফারদিন হত্যা মামলায় জামিন পেলেন বুশরা
ফারদিন নূর । ফাইল ছবি
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার আয়াতুল্লাহ বুশরার জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ তেহসিন ইফতেখার আজ রোববার এই আদেশ দেন।
আয়াতুল্লাহ বুশরার আইনজীবী মোখলেছুর রহমান বাদল এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। ফারদিনের বাবার আইনজীবী হেমায়েত উদ্দিন খান বলেন, তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া পর্যন্ত জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
আয়াতুল্লাহ বুশরার জামিন শুনানির সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন ফারদিনের বাবা কাজী নূর উদ্দিন। জামিন শুনানি শেষ হলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আয়াতুল্লাহ তাঁর ছেলের খুনের ঘটনায় জড়িত।
আদালতসংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, এই মামলায় গ্রেপ্তার আয়াতুল্লাহর জামিনের পক্ষে গত বৃহস্পতিবার যুক্তি তুলে ধরেন তাঁর আইনজীবী মোখলেছুর রহমান। অন্যদিকে বাদীপক্ষ ও রাষ্ট্রপক্ষ থেকে জামিনের বিরোধিতা করা হয়। সেদিন উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে আজ রোববার আদেশের জন্য দিন ঠিক করেছিলেন আদালত।
বুয়েট ক্যাম্পাসে যাওয়ার কথা বলে গত ৪ নভেম্বর ঢাকার ডেমরার কোনাপাড়ার বাসা থেকে বের হন ফারদিন। ওই দিনই তিনি নিখোঁজ হন। ওই দিন ফারদিনের সঙ্গে ছিলেন আয়াতুল্লাহ। পরদিন ৫ নভেম্বর রামপুরা থানায় জিডি করেন তাঁর বাবা কাজী নূর উদ্দিন। নিখোঁজের তিন দিন পর ৭ নভেম্বর বিকেলে নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ফারদিনের মরদেহ উদ্ধার করে নৌ পুলিশ। এ ঘটনায় ফারদিনের বাবা মামলা করেন। মামলায় আয়াতুল্লাহ বুশরাকে আসামি করা হয়। ওই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে রিমান্ড শেষে কারাগারে আছেন বুশরা।
বুয়েটছাত্র ফারদিন নূর হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন বলে প্রাথমিক ধারণার কথা জানিয়েছিলেন ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক। এরপর এটিকে হত্যাকাণ্ড ধরে মামলার তদন্ত এগোলেও সম্প্রতি তদন্ত সংস্থা ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, ফারদিন নূর আত্মহত্যা করেছিলেন। এ ঘটনার ছায়াতদন্ত করা র্যাবের পক্ষ থেকেও একই কথা বলা হয়। দাবির পক্ষে যুক্তি হিসেবে রাতের আঁধারে ডেমরার সুলতানা কামাল সেতু থেকে একজনের নদীতে ঝাঁপ দেওয়ার একটি ভিডিও হাজির করেছিল তারা।
তবে ফারদিনের পরিবার তাদের এই বক্তব্য মেনে নেয়নি। ফারদিন ‘হত্যাকাণ্ডের’ বিচার দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে আসা বুয়েটশিক্ষার্থীরাও ডিবি-র্যাবের বক্তব্য নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন।