ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট নিয়ে ইসিকে এককভাবে দায়ী করে লাভ নেই: সিইসি
কর্মশালার প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। শনিবার দুপুরে কক্সবাজারের একটি তারকা হোটেলে। ছবি সংগৃহীত।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ৫০ থেকে ৮০টি আসনের ভোট গ্রহণের সক্ষমতা আছে জানিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ইভিএম পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত নির্বাচন নিয়ে অনেকেই আপত্তি তুললেও এখন পর্যন্ত কেউই তথ্যনির্ভর কোনো অভিযোগ উপস্থাপন করতে পারেননি। ইভিএম পদ্ধতির ভোট নিয়ে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) এককভাবে দায়ী করে লাভ হবে না।
আজ শনিবার দুপুরে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের একটি তারকা হোটেলে ‘নির্বাচন ব্যবস্থাপনায় আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার: চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আওয়াল বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করলে নির্বাচনে ভারসাম্য সৃষ্টি হতো। নির্বাচন ও রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে কিছু সমস্যা রয়েছে। নির্বাচন যতই শান্তিপূর্ণ আর সুষ্টু হোক, জয়লাভ করতে পারলে নির্বাচন ঠিক আর জিততে না পারলে সবকিছু বেঠিক—এমন সংস্কৃতির পরিবর্তন দরকার। এ নিয়ে নির্বাচন কমিশনকে এককভাবে দায়ী করে লাভ নেই।
চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মো. আমিনুর রহমানের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আহসান হাবিব খান, অশোক কুমার দেবনাথ, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল হাসনাত মোহাম্মদ সায়েম, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মো. আনোয়ার হোসেন, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান, পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুল ইসলামসহ প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা। কর্মশালার আয়োজন করে নির্বাচন কমিশনার সচিবালয়।
কক্সবাজার জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. শাহদাত হোসেন বেলা অবেলাকে বলেন, গতকাল শুক্রবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার সরকারি সফরে কক্সবাজারে আসেন। ওই দিন তিনি দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীতে যান এবং সেখানকার নির্বাচন কার্যালয়, গভীর সমুদ্রবন্দর, মাতারবাড়ি তাপবিদ্যুৎ প্রকল্প, আদিনাথ মন্দির পরিদর্শন করেন। আগামীকাল রোববার তাঁর ঢাকার উদ্দেশে কক্সবাজার ত্যাগ করার কথা রয়েছে।