দেশে নৈরাজ্য ও হাহাকার চলার গণতন্ত্র না থাকায: মির্জা ফখরুল

ছবি: সংগ্রহীত

গণতন্ত্র না থাকায় দেশে নৈরাজ্য ও হাহাকার চলছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ভন্ড রাজনীতি করে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় যেতে  চায়। ক্ষমতায় এসে তারা জনগণের অধিকার কেড়ে লুট ও সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে একদলীয় বাকশালী শাসন চালাচ্ছে। সুশাসনের অভাব এবং গণতন্ত্র না থাকায় দেশে অর্থনৈতিক নৈরাজ্য সৃষ্টি হয়েছে। তাই চারিদিকেই শুধু হাহাকার, নাই আর নাই। 

আজ সোমবার সৈয়দপুর রাজনৈতিক জেলা শাখার দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

সৈয়দপুর পৌর কমিউনিটি সেন্টারের হলরুমে দীর্ঘ নয় বছর পর অনুষ্ঠিত এ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন জেলা শাখার ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক এসএম ওবায়দুর রহমান। 

মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রকে নির্বাসনে পাঠিয়ে সকল সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করেছে। বিদ্যুৎ ও গ্যাসের মূল্য বারবার বৃদ্ধি করছে। ব্যাংকিং ও আর্থিক খাতে অব্যবস্থাপনা, লাগামহীন দুর্নীতি, বিদেশে অর্থ পাচার, ঋণ খেলাপি বৃদ্ধি, ঋণ প্রাপ্তির অপর্যাপ্ততা ও আয় বৈষম্যের কারণেই দেশে আজ চরম নৈরাজ্য সৃষ্টি হয়েছে। ভিন্নভাবে আবারও তারা বাকশাল প্রতিষ্ঠা করতে চায়।

তিনি বলেন, এই নাভিশ্বাস পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে দেশ ও জনবিরোধী আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে দেশকে রক্ষায় ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। এজন্য প্রকৃত দেশপ্রেমিক দল হিসেবে বিএনপি ১০ দফা কর্মসূচি দিয়েছে। এর অন্যতম দাবি হলো নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন। 

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, রংপুর বিভাগীয় সাংগঠিক সম্পাদক ও সাবেক মন্ত্রী অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু, যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেক, দিনাজপুর পৌরসভার মেয়র সৈয়দ জাহাঙ্গীর হোসেন, সাবেক বিরোধী দলীয় হুইপ শওকত চৌধুরী, উপজেলা বিএনপি সভাপতি রেজাউল করিম লোকমান, সাধারণ সম্পাদক কার্জন, পৌর বিএনপির সভাপতি হাজী রশিদুল ইসলাম প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সৈয়দপুর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক শফিকুল ইসলাম জনি।

Sign up for the Newsletter

Join our newsletter and get updates in your inbox. We won’t spam you and we respect your privacy.