সংবিধানে ‘আদিবাসী’ স্বীকৃতিসহ ১১ দাবি ইউসিজিএমের

ছবি: সংগ্রহীত

সমতল অঞ্চলের আদিবাসীদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি দেওয়াসহ ১১ দফা দাবি জানিয়েছে বৃহত্তর ময়মনসিংহ আদিবাসী ঐক্য পরিষদ (ইউসিজিএম)।

আজ বুধবার রাজধানীর সেগুনবাগিচার ডিআরইউর নসরুল হামিদ মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে পরিষদ নেতারা এসব দাবি তুলে ধরেন। ইউসিজিএম সমতল অঞ্চলের ৩০টি আদিবাসী সংগঠন নিয়ে গঠিত।

সংবাদ সম্মেলনে পরিষদের মহাসচিব অরণ্য ই চিরান জানান, ২০২১ সালে কারিতাস সংস্থার এক জরিপে দেখা যায়, শুধু ময়মনসিংহ জেলায় গারো জনসংখ্যা ৯৮ হাজার ৬১ জন। কিন্তু পরিসংখ্যান ব্যুরোর ২০২২ সালের জনশুমারিতে সারাদেশে এই সংখ্যা ৭৫ হাজার ৮৪৬ জন দেখানো হয়েছে। মধ্যাঞ্চল ও দক্ষিণাঞ্চলের কিছু জেলা বাদে প্রায় সব কয়টি জেলাতেই আদিবাসীরা ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছেন।

তিনি বলেন, আদিবাসীদের নিজস্ব ভাষা, পোশাক, ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতি, নিজস্ব জীবনধারা ও আদি ঐতিহ্য রয়েছে। এরপরও সমতল এলাকার আদিবাসীরা অস্তিত্ব রক্ষার হুমকিতে রয়েছেন। গত শতাব্দীর চল্লিশের দশক-পরবর্তী এই হুমকি ক্রমেই বেড়েছে।

সংগঠনের সভাপতি অজয় এ মৃ জানান, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী আইন ২০১০ প্রণয়ন করা হলেও সংবিধানে ‘আদিবাসী’ স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি। একাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ইশতেহারে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ভূমি কমিশন গঠনের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল, কিন্তু এখন পর্যন্ত তা বাস্তবায়ন হয়নি।

অন্য দাবিগুলো হলো– আদিবাসীদের জন্য জাতীয় সংসদে ৫ শতাংশ সংরক্ষিত আসন বরাদ্দ ও পৃথক মন্ত্রণালয় গঠন, একজনকে পূর্ণমন্ত্রী করা, স্বতন্ত্র ভূমি কমিশন গঠন, সংরক্ষিত নারী আসনে মনোনয়ন এবং আইএলও কনভেনশন অনুযায়ী বিধিমালা প্রণয়ন করা। তা ছাড়া শিক্ষা ও সরকারি চাকরিতে ৫ শতাংশ কোটা বরাদ্দ বহালসহ নেত্রকোনার কলমাকান্দার মহাদেও নদী থেকে বালু-পাথর উত্তোলন বন্ধে আদালতে রিট আবেদনের দ্রুত নিষ্পত্তি করার দাবি জানায় সংগঠনটি। 

Sign up for the Newsletter

Join our newsletter and get updates in your inbox. We won’t spam you and we respect your privacy.