নেশার টাকা জোগাড়ে স্কুলছাত্রকে হত্যা করে ভ্যান ছিনতাই

প্রতীকী ছবি

শেরপুরের শ্রীবরদীতে নেশার টাকা জোগাড় করতে স্কুলছাত্রকে হত্যা করে ভ্যান ছিনতাই করে একদল বখাটে। পরে নিহতের মরদেহ একটি বিলের ধানক্ষেতে ফেলে দেওয়া হয়।

বৃহস্পতিবার দুপুরে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে জেলা হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। উপজেলার সীমান্তবর্তী রানীশিমুল ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত মো. জসিম (১২) হাসধরা পশ্চিমপাড়া গ্রামের প্রয়াত গোলাপজলের ছেলে। সে হাসধরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র ছিল। এ ঘটনায় জড়িত মো. মাসুদ (২৩) নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সে বিলভরাট গ্রামের আমিনুল ইসলামের ছেলে। এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই রুবেল মিয়া বাদী হয়ে মাসুদকে প্রধান আসামি এবং অজ্ঞাত আরও দু-তিনজনকে আসামি করে মামলা করেছেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে আদালতে তোলা হলে রোববার শুনানির দিন ধার্য করে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

পুলিশ জানায়, নিহত জসিমকে বুধবার সন্ধ্যায় তার মা বাজার থেকে পান আনতে বলেন। এ সময় সে বড় ভাইয়ের ভ্যান নিয়ে পার্শ্ববর্তী ভায়াডাঙ্গা বাজারে যায়। পথে মাদকসেবী বখাটে মাসুদসহ কয়েকজন ভ্যান ছিনতাই করে জসিমকে একটি নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে জসিম তাদের চিনে ফেলে এবং নাম ধরে চিৎকার করলে ছিনতাইকারীরা তার গলা, বুক ও পেটে ছুরিকাঘাত করে। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যায় জসিম। পরে বখাটেরা ভ্যানে করে মরদেহ নিয়ে হাসধরা গ্রামের ফাঁকা বিলের একটি ধানক্ষেতে ফেলে রাখে। রাতে বখাটে মাসুদ ভ্যানটি বিক্রির জন্য শ্রীবরদী উপজেলা শহরে গেলে তার শরীর ও ইঞ্জিনচালিত ভ্যানে রক্ত দেখে স্থানীয় লোকজনের সন্দেহ হয়। পরে থানায় খবর দিলে পুলিশ তাকে আটক করে।

এদিকে জসিম বাড়ি ফিরে না আসায় তার স্বজনরা রাতভর অনেক খোঁজাখুঁজি শেষে সকালে ঘটনাটি পুলিশকে জানান। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে মাসুদ হত্যার ঘটনা স্বীকার করে। বৃহস্পতিবার দুপুরে তাকে নিয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় এবং জসিমের মরদেহ উদ্ধার করে।

এ ঘটনায় বিকেলে শেরপুর পুলিশ সুপার কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিং করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) সোহেল মাহমুদ। তিনি জানান, জিজ্ঞাসাবাদে মাসুদ পলাতক আসামি শরিফের সহায়তায় হত্যার ঘটনা স্বীকার করেছে। নেশার টাকা যোগাড় করতে তারা ভ্যান ছিনতাই করেছিল। এ ঘটনায় জড়িত অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।

Sign up for the Newsletter

Join our newsletter and get updates in your inbox. We won’t spam you and we respect your privacy.