ইউরোপের বাজারে জিএসপি সুবিধা ৬ বছর চায় বিজিএমইএ

বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান ও ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের সদস্য ভ্যালেরি হায়ার। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উত্তরণের পথকে মসৃণ ও টেকসই করতে জিএসপি সুবিধার অধীনে পাওয়া বাণিজ্য সুবিধা তিন বছরের পরিবর্তে আরও ছয় বছর করার অনুরোধ করেছে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)।

আজ বুধবার উত্তরায় বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের সদস্য ভ্যালেরি হায়ারের সঙ্গে এক বৈঠকে এ অনুরোধ জানান বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান।

বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, প্রস্তাবিত জিএসপি স্কিমের নির্দিষ্ট ইইউ ‘সেইফগার্ড’ বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানিকে যেকোনো শুল্ক সুবিধার বাইরে রাখবে। তবে কিছু বাণিজ্য সুবিধা পেতে হলে বাংলাদেশকে জিএসপি প্লাসের জন্য যোগ্যতা অর্জন করতে হবে। জিএসপি প্লাস অর্জন করতে না পারলে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের প্রতিযোগী সক্ষমতাকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করবে, যা লাখো লাখো মানুষের জীবিকার উৎস।

জিএসপি সুবিধার অধীনে পাওয়া বাণিজ্য সুবিধা তিন বছরের পরিবর্তে আরও ছয় বছর করলে বাংলাদেশের পোশাক শিল্প শক্ত ভিত্তি পাওয়ার পাশাপাশি আগামী বছরগুলোতে দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে সহায়তা করবে।

ভ্যালেরি হায়ার সঙ্গে বৈঠকে বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে পোশাক খাতের গুরুত্বের কথা স্মরণ করিয়ে এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের পরে পোশাক শিল্পসহ রপ্তানি খাতের জন্য অগ্রাধিকারমূলক বাজার সুবিধা অব্যাহত রাখার ওপর জোর অনুরোধ করেন বিজিএমইএ সভাপতি।

ইউরোপীয় ইউনিয়নকে টেক্সটাইল থ্রেশহোল্ড মানদণ্ড প্রত্যাহার করার জন্য বা প্রস্তাবিত জিএসপি স্কিমে বাংলাদেশের জন্য প্রক্রিয়া পুনরায় ডিজাইন করার জন্য অনুরোধ জানান তিনি।

বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য, এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন, বাংলাদেশের বাণিজ্য ও অর্থনীতিতে এর সম্ভাব্য প্রভাব, পোশাক শিল্পের বর্তমান পরিস্থিতি এবং এর সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।

বৈঠকে ২০২৪-২০৩৪ সালের জন্য প্রস্তাবিত ইইউ জিএসপি স্কিম এবং এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের পরে জিএসপি প্লাসের অধীনে ইইউ বাজারে বাংলাদেশের অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য সুবিধাগুলোকে কীভাবে প্রভাবিত করবে, সে সম্পর্কেও আলোচনা হয়।

বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান আরও বলেন, জিএসপি স্কিমের অধীনে অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য সুবিধা বাংলাদেশের পোশাক শিল্পকে বিশ্ব বাজারে একটি শক্তিশালী অবস্থান নিশ্চিত করতে এবং এ দেশের লক্ষাধিক মানুষের জন্য, বিশেষ করে বাংলাদেশের নারীদের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে সহায়তা করেছে।

Sign up for the Newsletter

Join our newsletter and get updates in your inbox. We won’t spam you and we respect your privacy.