নির্বাচনে যাবে না বিএনপি, স্বতন্ত্র প্রার্থীতে বাধা নেই

ফাইল ছবি।

আসন্ন পাঁচ সিটি করপোরেশন নির্বাচনেও দলীয়ভাবে অংশ নেবে না বিএনপি। বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে আর কোনো নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্তেই বহাল রয়েছে দলটি। তবে জনপ্রিয় শক্তিশালী কেউ স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে এ স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশ নিলে শক্তভাবে বাধাও দেবে না তারা। এর আগে বিএনপি স্থানীয় সরকার নির্বাচন ‘দলীয় প্রতীকে’ না করার সিদ্ধান্ত জানিয়েছিল। এখনও সে সিদ্ধান্তেই অনড় রয়েছে তারা। এ পরিস্থিতিতে সিটিগুলোর নির্বাচনে মেয়র পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে যাচ্ছেন মাঠ পর্যায়ের বিএনপির পদধারী এবং পদবিহীন কোনো কোনো নেতা।

ইতোমধ্যে গতকাল বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ‘আভাস’ দিয়েছেন। অন্যদিকে, বিগত খুলনা সিটি নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ও দলের মহানগরের সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জুও প্রার্থী হওয়ার ব্যাপারে ‘ইতিবাচক’ মনোভাব ব্যক্ত করেছেন। একই সঙ্গে বরিশালের সাবেক বিএনপিদলীয় মেয়র আহসান হাবিব কামালের ছেলে কামরুল আহসান রূপন মেয়র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। গাজীপুরে প্রার্থী হবেন দলীয় নেতা নূরুল ইসলামের ছেলে সরকার শাহ নূর ইসলাম। এ ছাড়া রাজশাহীর সিটি নির্বাচনেও শেষ মুহূর্তে বিএনপির নেতা-সমর্থকদের মধ্য থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

আগামী ২৫ মে গাজীপুর, ১২ জুন খুলনা ও বরিশাল এবং ২১ জুন রাজশাহী ও সিলেটে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ২০১৮ সালের নির্বাচনে পাঁচটির মধ্যে চারটি– গাজীপুর, রাজশাহী, বরিশাল ও খুলনায় আওয়ামী লীগ প্রার্থী এবং সিলেট সিটির নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী বিজয়ী হয়েছিলেন। এর আগে ২০১৩ সালের নির্বাচনে পাঁচটি সিটির নির্বাচনে সব ক’টিতেই মেয়র পদে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোট সমর্থিত প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন।

এ বিষয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আওয়ামী লীগ ও এই নির্বাচন কমিশনের অধীনে আগামীতে সিটি করপোরেশনসহ কোনো নির্বাচনে অংশ নেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। এ মুহূর্তে সরকারের পতন এবং নির্দলীয় সরকারের অধীনে আগামী সংসদ নির্বাচনের দাবিতে তাঁরা যুগপৎ আন্দোলনে রয়েছেন– অন্য কিছু ভাবার সময় নেই। দেশের গণতন্ত্র ও নির্বাচন ব্যবস্থা পুরোপুরি ধ্বংস করে দিয়েছে অবৈধভাবে ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগ। বিগত দুটি জাতীয় নির্বাচন ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলোতে তা প্রমাণিত হয়েছে। আরিফুল হকের বক্তব্যের ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে তিনি এখনও কিছু জানেন না। জেনে পরে বক্তব্য দেবেন।

জাতীয় রাজনীতির নীতিগত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আসন্ন পাঁচ সিটি নির্বাচনেও অংশ নেবে না বিএনপি। ইতোমধ্যে নারায়ণগঞ্জ, কুমিল্লা ও রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনেও দলীয় প্রার্থী দেয়নি দলটি। যদিও নারায়ণগঞ্জ ও কুমিল্লা সিটিতে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে মেয়র পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে দল থেকে বহিষ্কৃত হন দুই নেতা। তবে নির্বাচনেও বিজয়ী হতে পারেননি তাঁরা। এখন দলের কর্মসূচিতে অংশ নিলেও তাঁদের বহিষ্কারাদেশও প্রত্যাহার হয়নি।

অবশ্য এবারের প্রেক্ষাপট কিছুটা ভিন্ন হতে পারে বলে আভাস পাওয়া যাচ্ছে। স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ব্যাপারে কঠোর সিদ্ধান্ত নাও নেওয়া হতে পারে। সম্প্রতি গাজীপুরের কালিয়াকৈর পৌরসভার মেয়র মজিবুর রহমান স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মেয়র নির্বাচিত হলেও দল থেকে তাঁকে বহিষ্কার করা হয়নি। তিনি বর্তমানে গাজীপুর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়কের দায়িত্বে রয়েছেন।

নাম প্রকাশ না করে বিএনপির কয়েকজন নেতা জানান, সিটি করপোরেশনগুলোতে মেয়র পদে প্রার্থী হওয়ার মতো অনেক যোগ্য এবং জনপ্রিয় বিএনপির কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় পর্যায়ের নেতা রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ সাবেক মেয়র, মন্ত্রী-এমপি এবং বিগত নির্বাচনে দলীয় মেয়র প্রার্থীও আছেন। তাঁদের মধ্যে কেউ এবং অন্য কোনো নেতাও দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা বা সিগন্যাল নিয়ে মেয়র পদে প্রার্থী হতে পারেন। সুষ্ঠু ভোট হলে বিএনপি নেতারা বিজয়ী হয়ে যেতে পারেন।

সূত্র জানায়, নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক দেখাতে বিরোধী নেতাদের নির্বাচনে নিতে নানা লোভ-লালসার আশ্বাসও দিতে পারে সরকার, যাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উপনির্বাচনে উকিল আবদুস সাত্তারের দেখানো ভুল পথে বিএনপির কেউ কেউ পা বাড়াতেও পারেন।  

বিএনপি নেতারা জানান, আবার মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীর অনেকেই আওয়ামী লীগকে খালি মাঠে ‘ওয়াকওভার’ না দেওয়ার পক্ষে। তাঁদের মতে, বিগত ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা ও উপজেলা এবং সিটি নির্বাচনে বিএনপি অংশ না নেওয়ায় অনেক জায়গায় বিএনপির নেতাকর্মী ও সমর্থকরা আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেছেন।  

অবশ্য বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ভোট ডাকাত সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবে না বিএনপি। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ছাড়া দেশে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। দলের কেউ প্রার্থী হওয়ার খবর তিনি জানেন না।

সিলেটে প্রার্থী হচ্ছেন আরিফুল

বিগত সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন বিএনপির প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বদর উদ্দিন আহমদ কামরান। এবার সিলেটে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়েছেন যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। 

নির্বাচনের প্রার্থিতা নিয়ে ধোঁয়াশার মধ্যে যুক্তরাজ্য সফর শেষে দেশে ফিরে গতকাল নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ‘আভাস’ দিয়েছেন বর্তমান মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। সিলেট বিমানবন্দরে নেতাকর্মীর ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত আরিফুল হক জানিয়েছেন, তিনি মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার মূল্যায়ন করবেন। এ সময় নির্বাচনে প্রার্থিতার বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র আরিফুল বলেন, বিএনপি বর্তমান সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে যাবে না। তবে এই নগরের জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার বিষয়ে আমি অবহিত আছি। তাদের এই আশার মূল্যায়ন আমি করব।

যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে বৈঠক ও আলাপ হয়েছে জানিয়ে আরিফুল হক বলেন, তিনি আমাকে একটি সিগন্যাল দিয়েছেন। তিনি কী সিগন্যাল দিয়েছেন, তা অচিরেই আমি খোলাসা করব। সেটা লাল কিংবা সবুজ– তা সময়ই বলে দেবে ইনশাল্লাহ। আন্দোলনের মধ্য দিয়ে বিজয় অর্জন করব। এ ছাড়া নির্বাচন নিয়ে আমার অবস্থানও দ্রুত স্পষ্ট করব।

আরিফের ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে, সফরকালে যুক্তরাজ্যেও শুভাকাঙ্ক্ষীদের কাছে বিশেষ দোয়া চেয়েছেন তিনি। প্রার্থিতার বিষয়ে দুই সপ্তাহ পর লন্ডন থেকে ‘বিশেষ সিগন্যাল’ আসবে বলেও আপনজনদের জানিয়েছেন। এমনকি প্রার্থী হওয়ার সিগন্যাল দিতেই তিনি বিমানবন্দরে শোডাউন করেন।

খুলনায় প্রার্থী হতে পারেন মঞ্জু

বিগত খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ও দলের সাবেক মহানগর সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, আন্দোলনের অংশ হিসেবে বিএনপির নির্বাচনে অংশ নেওয়া উচিত। নির্বাচনে কারচুপি করলেও দেশি-বিদেশিদের কাছে আরও প্রমাণিত হবে এ সরকারের অধীনে কোনো অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। বিষয়টি দলের সর্বোচ্চ ফোরামে চুলচেরা বিশ্লেষণ করবেন বলে আশা করেন তিনি।

নির্বাচনে অংশ নেবেন কিনা– এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সিলেটের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর বক্তব্য অনুযায়ী দলের হাইকমান্ড যদি কোনো পজেটিভ সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে আমরা মাঠে থাকব। একই সঙ্গে তিনি বলেন, দলের মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীর চাপ রয়েছে। আওয়ামী লীগকে খালি মাঠ ছেড়ে দেওয়া উচিত নয় বলে মনে করেন তাঁরা। আওয়ামী লীগের প্রার্থীর অনেক দুর্নাম রয়েছে। এ পরিস্থিতিতে দলের হাইকমান্ডের সঙ্গেও যোগাযোগ করবেন বলে জানান তিনি।

গত খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী তালুকদার আবদুল খালেক মেয়র পদে জয়ী হন। ওই নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন। এবারও আওয়ামী লীগের প্রার্থী তালুকদার আবদুল খালেক। অবশ্য বর্তমানে খুলনা মহানগর বিএনপির নতুন কমিটি গঠনের দলীয় সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করায় বর্তমানে মঞ্জুর পদ স্থগিত রয়েছে।

এখন খুলনা বিএনপি দুটি বলয়ে বিভক্ত। একটি খুলনা মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জুর নেতৃত্বে, আরেকটি বলয় দলের কেন্দ্রীয় ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুলের নেতৃত্বে। মঞ্জুর বলয়ের নেতাকর্মীরা বর্তমানে নিষ্ক্রিয় রয়েছেন। আর বকুলের বলয়ের নেতাকর্মীরা রয়েছেন খুলনা মহানগর ও জেলার কমিটির নেতৃত্বে। এ পরিস্থিতিতে মঞ্জু স্বতন্ত্র প্রার্থী হলেও দলের সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করবেন কিনা– তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।

বরিশালে প্রার্থী হচ্ছেন সাবেক মেয়রের ছেলে রূপন

বিগত বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ বিজয়ী হন।  নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছিলেন বিএনপির প্রার্থী মজিবর রহমান সরোয়ার। বরিশালে এবার আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবুল খায়ের আবদুল্লাহ ওরফে খোকন সেরনিয়াবাত। বিএনপি সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করলে বা নির্বাচন করলে বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরিন এবং বরিশাল মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান ফারুক নির্বাচনে মনোনয়ন চাইবেন।অবশ্য স্বতন্ত্র হিসেবে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপিদলীয় সাবেক মেয়র আহসান হাবিব কামালের ছেলে কামরুল আহসান রূপন। তিনি কোনো দলীয় পদে নেই।

অবশ্য বিগত নির্বাচনে বিএনপিদলীয় প্রার্থী দলের যুগ্ম মহাসচিব মজিবর রহমান সরোয়ার জানান , দলীয় সিদ্ধান্ত রয়েছে এ সরকারের অধীনে আমরা নির্বাচনে যাব না। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বিএনপির কেউ নির্বাচন করবে বলে এখনও কারও নাম শুনিনি।

গাজীপুরে প্রার্থী হবেন বিএনপি নেতার ছেলে

ঢাকার পার্শ্ববর্তী গাজীপুর সিটিতে সবার আগে নির্বাচন হবে। বিগত নির্বাচনে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলমের কাছে পরাজিত হন বিএনপির হাসানউদ্দিন সরকার। অবশ্য আওয়ামী লীগের প্রার্থী মহানগর সভাপতি আজমল উল্লা খান। আগামী নির্বাচন সম্পর্কে বিগত নির্বাচনের প্রার্থী বিএনপি নেতা হাসান সরকার বলেন, ‘দল যদি সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে, তাহলে তিনি দলীয় প্রার্থী হবেন।  তিনি প্রস্তুত আছেন। আর যদি দল নির্বাচনে না যায়, তাহলে খালি মাঠে গোল দিতে দেব না আওয়ামী লীগকে।’ অবশ্য তাঁর ভাজিতা এবং বিএনপি নেতা নূরুল ইসলামের ছেলে শাহ নূর ইসলাম স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করবেন। তিনি দলের কোনো পদে নেই।

সম্ভাবনা রয়েছে রাজশাহীতেও

বিগত রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এ এইচ এম খায়রুজ্জামান (লিটন) মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিএনপির প্রার্থী মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল। এবার লিটন আওয়ামী লীগের প্রার্থী। শেষ মুহূর্তে রাজশাহীতেও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বিএনপির কেউ প্রার্থী হয়ে যেতে পারেন।

এ পরিস্থিতিতে আগামী নির্বাচন সম্পর্কে দলের কেন্দ্রীয় বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক বুলবুলের কাছে দল নির্বাচনে না গেলে কেউ স্বতন্ত্র প্রার্থী হবেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ নিয়ে এখন কোনো কথা বলব না।

যদিও সিটি করপোরেশনে বিএনপির না আসা প্রসঙ্গ উল্লেখ করে গত মঙ্গলবার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে বলেন, বিভিন্ন পৌরসভা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের নির্বাচনে বিএনপির ধানের শীষের প্রার্থী না থাকলেও ‘ঘোমটা পরে’ সবখানেই তাদের প্রার্থী ছিল। এই ঘোমটা পরা প্রার্থী কিন্তু সিটি নির্বাচনেও থাকবে। সিলেটের আরিফ বর্তমান মেয়র অলরেডি ঘোষণা দিয়েছেন। কাজেই অন্যান্য সিটিতেও ঘোমটা পরা তাদের স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছে। এটা বিএনপির রাজনীতির আরেক ভণ্ডামি। এটা ভণ্ডামি, তারা করছে।

Sign up for the Newsletter

Join our newsletter and get updates in your inbox. We won’t spam you and we respect your privacy.