এবার তাইওয়ান প্রণালীতে মার্কিন ডেস্ট্রয়ার
মার্কিন নৌবাহিনীর সদস্যদের নজরদারি
তাইওয়ান নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র-চীনের মধ্যে টানাপোড়েনের মধ্যেই তাইওয়ান প্রণালী দিয়ে যুদ্ধ জাহাজ চালিয়েছে মার্কিন নৌবাহিনী। ক্ষেপণাস্ত্রবাহী ডেস্ট্রয়ারটির নাম ‘ইউএসএস মিলিয়াস‘। যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, এই অঞ্চলে মার্কিন নৌবাহিনীর চলাচলের স্বাধীনতার অধিকার আদায়ে তাদের এই মহড়া। টিআরটি ওয়ার্ল্ডের খবর।
যুদ্ধজাহাজটি গতকাল রোববার তাইওয়ান প্রণালী দিয়ে রুটিন ট্রানজিট পরিচালনা করেছে। মার্কিন নৌবাহিনীর সপ্তম ফ্লিট এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক আইন মোতাবেক এখানকার সমুদ্রে স্বাধীনভাবে চলাফেরার অধিকার সবার রয়েছে। সোমবার টুইটারে তাইওয়ান প্রণালীতে জাহাজ পরিচালনার ছবি ও ভিডিও শেয়ার করেছে তারা।
চীন তাইওয়ানকে নিজ ভূখণ্ডের অংশ হিসেবে দেখে এবং স্বশাসিত দ্বীপটিকে একদিন পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আনার অঙ্গীকারও করে রেখেছে দেশটি। বেইজিং গত ৮ এপ্রিল তাইওয়ানের চারপাশে তিন দিনের সামরিক মহড়া শুরু করে। তাইওয়ানকে লক্ষ্যবস্তু বানিয়ে হামলা এবং দ্বীপটিকে অবরোধ অনুশীলন করে চীনা সামরিক বাহিনী।
মার্কিন নৌবাহিনী জানিয়েছে, জাহাজ প্রণালীতে একটি করিডোর দিয়ে ডেস্ট্রয়ারটি ট্রানজিট করেছে এবং এই অবস্থান যেকোনো উপকূলের আঞ্চলিক সমুদ্রসীমার বাইরে অবস্থিত। এর মাধ্যমে একটি মুক্ত ও উন্মুক্ত এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাধাহীন প্রবেশের ক্ষমতা প্রদর্শিত হয়েছে।
নৌবাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে বাধাহীনভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী যেকোনো স্থানে জাহাজ চালাতে পারে, পাল তোলে এবং ট্রানজিট পরিচালনা করে।
তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং ওয়েনের সাম্প্রতিক মার্কিন সফরের প্রতিক্রিয়ায় দ্বীপটির চারপাশে বেইজিং ৮ এপ্রিলের ওই মহড়া চালায়। সফরে তিনি মার্কিন হাউস স্পিকার কেভিন ম্যাকার্থির সঙ্গে দেখা করেছিলেন।
গত সপ্তাহে মহড়ার শেষ দিনে ইউএসএস মিলিয়াস বিতর্কিত দক্ষিণ চীন সাগরে বেইজিংয়ের দাবিকৃত জলসীমার মধ্য দিয়ে যাত্রা করেছিল। বেইজিং এই মহড়াকে বেআইনি অনুপ্রবেশ বলে অভিহিত করেছে। চীনা সরকারের অনুমোদন ছাড়াই জাহাজটি অপচর্চা করেছে বলেও দাবি বেইজিংয়ের।