কর্ণাটকের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে
কর্ণাটকের সাবেক মুখ্যমন্ত্রীকে কংগ্রেসে স্বাগত জানিয়েছেন দলটির সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। পিটিআইয়ের সৌজন্যে
দক্ষিণ ভারতের একমাত্র বিজেপি শাসিত রাজ্য কর্ণাটক। সেই রাজ্যের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী বিজেপি নেতা জগদীশ শেট্টার আজ সোমবার কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে এদিন বেঙ্গালুরুতে তাঁকে দলে বরণ করে নেন।
শেট্টার কর্ণাটক বিধানসভার ছয়বারের বিজেপি বিধায়ক। কিন্তু এবার দল তাঁকে টিকিট দেয়নি। তাই ভোটের আগে দল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দিলেন।
দল বদল প্রসঙ্গে জগদীশ সাংবাদিকদের বলেন, দলের নীতি ও আদর্শ মেনে নিয়েই তিনি কংগ্রেসে যোগ দিচ্ছেন। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুনের দাবি, শেট্টারের মতো প্রবীণ নেতা কংগ্রেসে যোগ দেওয়ায় রাজ্যে তাঁদের সরকার গঠন আরও সহজ হবে।
কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী আজ কর্ণাটকে ভোটের প্রচারে রাজ্যবাসীর কাছে বিজেপির ঘৃণার রাজনীতির বিরুদ্ধে কংগ্রেসকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
অন্যদিকে, বিজেপি নেতা ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই দাবি করেছেন, উন্নয়নের হাত ধরে কর্ণাটকে ফের বিজেপিরই সরকার হচ্ছে। শেট্টারকে বয়সের কারণেই টিকিট দেওয়া হয়নি বলেও দাবি করেন তিনি।
ভারতের কর্ণাটক রাজ্যে আগামী ১০ মে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। আর ভোট গণনার দিন নির্ধারিত আছে ১৩ মে।
এর আগে বিজেপির টিকিট না পেয়ে গত শুক্রবার কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন একই রাজ্যের সাবেক উপমুখ্যমন্ত্রী লক্ষ্মণ সাড়াভি। তিনিও তিনবারের বিধায়ক। ওই সময় কর্ণাটক রাজ্যের কংগ্রেস সভাপতি ডি কে শিবকুমার বলেছিলেন, ‘আরও ১০-১২ জন বিজেপি বিধায়ক কংগ্রেসে যোগ দিতে চাইছেন।’ লক্ষ্মণকে বেলগাভী জেলার আথানি কেন্দ্রে টিকিট দিয়েছে কংগ্রেস।
উত্তর কর্ণাটকের প্রভাবশালী লিঙ্গায়েত নেতা লক্ষ্মণ কর্ণাটক বিজেপির সাবেক মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদুরাপ্পার ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ছিলেন। অন্যদিকে জগদীশের পরিচিতি ইয়েদুরাপ্পা বিরোধী হিসেবে।
২০১১ সালে দুর্নীতির মামলার জেরে ইয়েদুরাপ্পা মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছাড়তে বাধ্য হন। সে সময় মুখ্যমন্ত্রী করেছিলেন তাঁরই ঘনিষ্ঠ সদানন্দ গৌড়াকে। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই দুজনের বিরোধ প্রকাশ্যে আসে। এরপর বিজেপি হাইকমান্ড মুখ্যমন্ত্রী করে ‘ইয়েদুরাপ্পা বিরোধী’ জগদীশকে। প্রতিবাদে বিজেপি ছেড়ে কর্ণাটক জনতা পার্টি গড়ে ২০১৩ সালের বিধানসভা ভোটে লড়েন ইয়েদুরাপ্পা। তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী জগদীশের নেতৃত্বে ভোটে লড়ে কর্ণাটকে হেরে গিয়েছিল বিজেপি।