লক্ষ্মীপুরে আবাসিক কোয়ার্টার থেকে নারীর খণ্ডিত লাশ উদ্ধার
সোমবার আনুমানিক রাত ২টার দিকে লক্ষ্মীপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের আবাসিক কোয়ার্টারের একটি ঘর থেকে এক নারীর খণ্ড বিখণ্ড লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় তার বড় ছেলেকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হলেও ছোট ছেলে নিখোঁজ রয়েছে।
রাতে মৃতের শরীরের খণ্ড বিখণ্ড অংশগুলো উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয় বলে নিশ্চিত করেন লক্ষ্মীপুর সদর থানার ওসি মোহাম্মদ মোসলেহ উদ্দিন।
নিহত মমতাজ বেগম (৪৫) লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার কুশাখালী এলাকার মৃত আব্দুল মতিনের স্ত্রী। তাঁর দুই ছেলে সাইফুল ইসলাম রকি ও শরিফুল ইসলাম বাপ্পীকে নিয়ে সড়ক বিভাগের স্টাফ কোয়ার্টারের একটি বাসায় থাকতেন।
লক্ষ্মীপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগে গাড়ি চালক পদে চাকরি করতেন আব্দুল মতিন। তার মারা যাওয়ার পর থেকে বড় ছেলে বাপ্পী সড়ক বিভাগে অস্থায়ী ভিত্তিতে পিয়নের চাকরি করে আসছেন। ছোট ছেলে রকি লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজের ডিগ্রির ছাত্র।
স্থানীয়দের বরাতে লক্ষ্মীপুর সদর থানার ডিউটি অফিসার এসআই শহিদুল ইসলাম জানান, ঈদের ছুটিতে মমতাজ বেগম বড় ছেলেকে সাথে নিয়ে গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলেন। সোমবার সন্ধ্যায় তারা বাসায় ফিরলে মাকে রেখে বড় ছেলে বাপ্পী আবার বাইরে যান।
রাত সাড়ে ১১টার দিকে বাপ্পী বাসায় এসে তার মাকে ডাকাডাকি করেন মায়ের কোনো সাড়াশব্দ পান নি। এসময় তিনি ঘরের প্রধান ফটক তালাবদ্ধ অবস্থায় দেখতে পান। আশেপাশের খোঁজ নিয়েও মায়ের কোনো খোঁজ পাননি বাপ্পী। পরে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে মায়ের রক্তমাখা খণ্ডিত মৃতদেহ দেখতে পান তিনি।
শহিদুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে এবং জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বাপ্পীকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
ওসি মোহাম্মদ মোসলেহ উদ্দিন জানান, হত্যাকাণ্ড কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তিনি ধারণা করছেন পারিবারিক কলহের জেরে মমতাজ বেগম খুন হয়ে থাকতে পারে। এ বিষয়ে তদন্ত চলমান।