পাকিস্তানে বিস্ফোরণ, নিহত ১২
ছবি: সংগৃহীত
গতকাল পাকিস্তানের সোয়াত উপত্যকায় একটি সন্ত্রাসবিরোধী কার্যালয়ে দুটি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় কমপক্ষে ১২ জন নিহত হয়েছেন। ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসিকে এই তথ্য নিশ্চিত করছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা
স্থানীয় পুলিশ জানান এই বিস্ফোরণের ঘটনা পরিকল্পিতভাবে হয়নি বলে মনে করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। বৈদ্যুতিক ত্রুটি থেকে আগুন ধরে যায় এবং কার্যালয়ে রাখা গোলাবারুদে বিস্ফোরণ ঘটে বলে ধারণা করা হচ্ছে
নিহতদের বেশির ভাগই পুলিশ কর্মকর্তা বলে নিশ্চিত করেছেন। বিস্ফোরণের ঘটনায় ভবনটি ধসে পড়েছে। এ ঘটনায় ৩০ জনেরও বেশি মানুষ হতাহত হয়েছেন।
২০০৯ সাল থেকে ইসলামপন্থী উগ্র গোষ্ঠীরা নিয়ন্ত্রণ করছে খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের সোয়াত উপত্যকাটি। এর প্রতিবেশী দেশ আফগানিস্তানের সীমান্তবর্তী এলাকা অবস্থিত। খাইবার পাখতুনখাওয়ার প্রাদেশিক পুলিশের মূখপাত্র জানান, সম্ভবত বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে গোলাবারুদে আগুন লেগে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। বাইরে থেকে হামলার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলেও জানিয়েছেন তিনি।
পাকিস্তানি তালেবান গোষ্ঠী বিগত কয়েকমাসে বেশ কয়েকবার নিরাপত্তা বাহিনীকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। তবে তালেবানের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত এই বিস্ফোরণের সঙ্গে জড়িত থাকার দাবি তুলেনি ।
সন্ত্রাসীরা এ বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে বলে মনে হচ্ছে না
বলে দাবি করেন পুলিশের সন্ত্রাসবিরোধী বিভাগের আঞ্চলিক প্রধান সোহেল খালিদ তিনি বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এই তথ্য জানান, তিনি আরো বলেন সন্ত্রাসীরা এ বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে বলে মনে হচ্ছে না। এখানে আমাদের বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ ছিল। আমাদেরই অসতর্কতার কারণে বিস্ফোরণটি ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বিস্ঢোরণের শুরু দিকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ এ বিস্ফোরণকে ‘আত্মঘাতী হামলা’ বলে অভিহিত করেছিলো পরে এক টুইটার পোস্টে বলেন, ‘বিস্ফোরণের কারণ ও প্রকৃতি তদন্ত করা হচ্ছে।’
বিবিসির প্রতিবেদনে জানায়, পাকিস্তানের সন্ত্রাসবিরোধী বাহিনী সোয়াত এই উপত্যকায় এদের শক্তিশালী উপস্থিতি বজায় রেখেছেন। এ কারণে ওই এলাকায় সহিংসতার প্রবণতা রয়েছে।
২০১২ সালে উগ্রপন্থীরা সোয়াত উপত্যকায় নোবেল বিজয়ী মালালা ইউসুফজাই এর উপর হামলা করেছিলো।