বান্দরবানের রুমা উপজেলায় গোলাগুলি
শান্ত পাহাড়ে আবারও ঘটেছে গোলাগুলির ঘটনা। এবার বান্দরবানের রুমা উপজেলার দুর্গম পাইন্দু ইউনিয়নের মুয়ালপি পাড়া এলাকায় পাহাড়ে থেমে থেমে গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটছে। স্থানীয় অনেকে বলছেন, সেখানে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ-গণতান্ত্রিক) এবং কুকি-চিন ন্যাশনাল আর্মির (কেএনএফ) মধ্যে সংঘর্ষ চলছে।
রুমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলমগীর হোসেন জানান, ‘ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত দুই সশস্ত্র সন্ত্রাসী গ্রুপের মধ্যে গুলি বিনিময় হয়েছে এমন তথ্য জেনেছি। কার সঙ্গে কার গুলি বিনিময় হয়েছে জানার চেষ্টা করছি। গুলিতে কতজন হতাহত হয়েছে এখনও জানা যায়নি।’
এদিকে কেএনএফের একটি ফেসবুক পেজ থেকে দাবি করা হয়েছে, ‘গুলিতে ইউপিডিএফ-গণতান্ত্রিকের আটজন সদস্য নিহত হয়েছেন।’ তবে এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কিছু জানায়নি।
পাইন্দু ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান উহ্লামং মার্মা বলেন, ‘আজ ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত থেমে থেমে গুলির শব্দ পাওয়া গেছে। লোকমুখে শুনেছি- কেএনএফের সঙ্গে ইউপিডিএফ-গণতান্ত্রিকের গুলি বিনিময় হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘গুলির ভয়ে মুয়ালপিপাড়ার ৪০-৫০ পরিবার জেলা সদরে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছে। তাদের স্থানীয়ভাবে সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে।’
ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিকের জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক উবামং মার্মা বলেন, ‘আমাদের কোনো সশস্ত্র গ্রুপ নেই। সে কারণে আমাদের দলের সঙ্গে গোলাগুলি এবং আমাদের সদস্য মারা যাওয়ার বিষয়টি সম্পূর্ণ অবান্তর।’
এদিকে পাহাড়ে দুই সশস্ত্র গ্রুপের মধ্যে গুলি বিনিময়ের খবরে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সর্তক অবস্থায় রয়েছে বলে জানা গেছে। মুয়ালপি পাড়ার কাছাকাছি আইন শৃঙ্খলাবাহিনী অবস্থান নিয়েছে।
এর আগে গত ৭ এপ্রিল কেএনএফ ও ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিকের মধ্যে গুলি বিনিময়ের পর ৭ এপ্রিল সকালে রোয়াংছড়ি খামতাং পাড়া থেকে কেএনএফের আট সদস্যের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।