বহুজাতিক কোম্পানিগুলোকে পুঁজিবাজারে আনতে আইন সংশোধন করছে বিএসইসি
বাংলাদেশে ৪২টি বড় বহুজাতিক কোম্পানি ব্যবসা করে আসছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে মাত্র ১২টি কোম্পানি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত রয়েছে । বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) বলছে, বিদেশি কোম্পানিগুলোকে তাঁরা তালিকাভুক্ত করার চেষ্টা করলেও অধিকতর মনিটরিং এবং তথ্য প্রদানে আইনগত বাধ্যবাধকতার কারণ দেখিয়ে তালিকাভুক্তিতে অনাগ্রহ প্রকাশ করছে।
জাতীয় সংসদের পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির কার্যবিবরণী থেকে জানা গেছে। গত ফেব্রুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিত কমিটির বৈঠকে এ নিয়ে আলোচনা হয়। পরে সেটি কার্যবিবরণীতে উঠে আসে। আজ বৃহস্পতিবারের বৈঠকে তা অনুমোদন করা হয়।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, কমিটির গত বৈঠকে দেশের পুঁজিবাজারের বিনিয়োগ সম্পর্কে সামগ্রিক আলোচনা করেন। সেখানে সংসদীয় কমিটির সদস্য ছাড়াও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, পরিকল্পনা বিভাগ, আইএমইডি বিভাগের সচিব উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া বিএসইসির কমিশনার অধ্যাপক ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ ও আবদুল হালিম উপস্থিত ছিলেন।
ওই বৈঠকে বিএসইসির কমিশনার জানান, আইনের সংশ্লিষ্ট কিছু ধারা সংশোধন করে অনাগ্রহী কোম্পানিগুলোকে পর্যায়ক্রমে তালিকাভুক্ত করার জন্য কমিশন তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে।
কমিশনার আরও জানান, পুঁজিবাজারে ২০১৮ সাল থেকে জানুয়ারি ২০২৩ পর্যন্ত পুঁজি সঞ্চায়নের পরিমাণ ৫৪ হাজার ৯৮৯ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। যার মধ্যে ইক্যুইটি ও বন্ডের অনুপাত ১: ১৫।
বৈঠকে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব শেখ মোহাম্মদ সলীম উল্লাহ বলেন, দেশের উন্নয়নের গতি বজায় রাখার জন্য দরকার পর্যাপ্ত বিনিয়োগ। যার জন্য প্রয়োজন পুঁজি। এ পুঁজি সংগ্রহের মাধ্যম হচ্ছে ক্যাপিটাল মার্কেট বলে জানান সচিব। তিনি বলেন, দেশের ক্যাপিটাল মার্কেট তেমন শক্তিশালী না হওয়ায় ব্যাংক থেকেও অর্থ সংগ্রহ করা হয়ে থাকে।
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। কমিটির সভাপতি আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে বৈঠকে আরও অংশগ্রহণ করেন কমিটির সদস্য মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম, বীরেন শিকদার এবং আদিবা আনজুম মিতা।
সংসদ সচিবালয় থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্রামীণ মাটির রাস্তাসমূহ টেকসই করার জন্য হেরিং বোন বন্ড (এইচবিবি) করণ শীর্ষক প্রকল্পের কাজ করার ক্ষেত্রে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা যথাযথ রেখে রাস্তা নির্মাণের পরামর্শ দেওয়া হয়। সরকারের আর্থিক অপচয় রোধকল্পে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করার জন্য মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করে। জনস্বার্থে গুরুত্বপূর্ণ স্থানে দুর্যোগ মোকাবিলায় অধিক সতর্ক থাকার কমিটি ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়কে আহ্বান জানায় কমিটি।