বাজেটের সহায়তা চাইতে বিদেশ গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী: ওবায়দুল কাদের 

আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে শ্রমিক সমাবেশে বক্তব্য দেন ওবায়দুল কাদের। ছবি: সংগৃহীত

প্রধানমন্ত্রীর জাপান, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য সফরের গুরুত্ব ব্যাখ্যা করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘শেখ হাসিনা বিদেশ সফরে আছেন, তিনি দেশ বিক্রি করতে যাননি। তিনি গিয়েছেন দেশের উচ্চতা আরও বাড়াতে। নিজের জন্য নয়, আগামী বাজেটের জন্য সহযোগিতা চাইতে।’

আজ সোমবার আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে শ্রমিক সমাবেশে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। জাতীয় শ্রমিক লীগের এ কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা অংশ নিয়েছেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজের জন্য নয়, দেশের মানুষের শান্তির জন্য বিদেশ সফরে গেছেন। তাঁর এই সফর বাংলাদেশকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে। এই সফর বাংলাদেশকে, এই জাতিকে আত্মশক্তিতে বলীয়ান করেছে।’

বাংলাদেশে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিতে যারা কষ্ট পাচ্ছেন, সেই সাধারণ জনগণকে বাঁচাতে প্রধানমন্ত্রী বিদেশ গেছেন বলে দাবি করে কাদের বলেন, ‘১১ লাখ রোহিঙ্গারা আমাদের ওপর বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। মির্জা ফখরুল কটাক্ষ করেন। শেখ হাসিনা বাজেট সহযোগিতার জন্য জাপানে ৩০০ মিলিয়ন পেয়েছেন, বিশ্বব্যাংক থেকে ৫০০ মিলিয়ন ডলার পাওয়ার কথা আছে।’

কাদের বলেন, ‘আগামী দিনগুলো সুন্দর করার জন্য, বিশ্বসংকটে জীবনের চাকা সচল রাখা, সাধারণ মানুষের শান্তির জন্য শেখ হাসিনা বিদেশ গেছেন।’ 

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি এসব সহ্য করতে পারে না। তাদের আন্দোলন ঝিমিয়ে পড়েছে। বিএনপির আন্দোলন পথহারা পথিকের মতো দিশেহারা। বিএনপি রাজনীতিতে ডিফিট খেয়েছে।’

বিএনপি সব সিটি নির্বাচনে স্বতন্ত্রের নামে ঘোমটা পরা প্রার্থী দিয়েছে বলে দাবি করেন কাদের। তিনি বলেন, ‘রাজনীতির পর বিএনপির এখন টার্গেট দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করা। অর্থনীতির চাকা বন্ধ করতে তারা নব নব কৌশলে নতুন নতুন ষড়যন্ত্র করছে। আগুন লাগাতে হবে, লুটপাট করতে হবে—এটাই বিএনপির স্বভাব। অর্থ পাচারকারী লুটেরাদের হাতে দেশের ক্ষমতা জনগণ দেবে না।’

জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়, এমন কেউ দলের মনোনয়ন পাবেন না বলে জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি দলীয় ঐক্য সমুন্নত রাখার জন্য নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, এই ঐক্যে যেন চিড় না ধরে, ফাটল না ধরে। এই ঐক্যকে আরও সংহত করতে হবে। 

জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি নূর কুতুব আলম মান্নানের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল হোসেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামশ পরশ, সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল প্রমুখ।

Sign up for the Newsletter

Join our newsletter and get updates in your inbox. We won’t spam you and we respect your privacy.