গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন
গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন ফাইল ছবি
রিকশাচালক আবুল হোসেন। মতিঝিল থেকে ফকিরাপুল পর্যন্ত একবার যাত্রী নিয়েই ক্লান্ত তিনি। গরমে ক্লান্তি যেন চরমে তাঁর। তাই অল্প একটু ছায়া পেয়েই বিশ্রামে ব্যস্ত তিনি। অথচ গরম না থাকলে বিশ্রামের সময়টুকুতে আবুল হোসেন বেশ কয়েকটি ভাড়া নিয়ে ফেলতেন। আবুল হোসেনের মতো গরমে স্বস্তিতে নেই দিনমজুর কেউ। শুধু দিনমজুর নয়, গরমে অতিষ্ঠ পুরো দেশের সাধারণ মানুষ।
রাজধানীসহ দেশের সর্বত্র তাপমাত্রা গত ২৪ ঘণ্টায় বেড়েছে। এর মধ্যে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বেড়েছে প্রায় ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়ার অধিদপ্তরের সর্বশেষ বিজ্ঞপ্তিতে অনুযায়ী, দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায়, ৩৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগের ২৪ ঘণ্টায় এই চুয়াডাঙ্গাতেই দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৩৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা আজ ৩৭ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগের ২৪ ঘণ্টায় এ তাপমাত্রা ছিল ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ এ কে এম নামজুল হক আজ বেলা অবেলাকে বলেন, তিনটি কারণে তাপমাত্রা বাড়ছে। এক, এপ্রিল ও মে মাস দেশের উষ্ণ মাস। গত এপ্রিল মাসে স্বাভাবিকের চেয়ে কম বৃষ্টি হয়েছে। এ দুই মাসের বৈশিষ্ট্যের কারণেই এখন গরম বেশি।
গরম হওয়ার দ্বিতীয় কারণ হলো কম বৃষ্টি হওয়া। মে মাসের শুরুতে দেশের বিভিন্ন স্থানে কিছু কিছু বৃষ্টি হলেও গত দুই দিন বৃষ্টি একেবারেই কম। আর এ কারণে গরম বাড়ছে।
গরম বেড়ে যাওয়ার তৃতীয় কারণ হিসেবে নাজমুল হক সাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের কথা বলেন। তাঁর মতে, এখন সাগর থেকে হাওয়া আসছে না; বরং ভূপৃষ্ঠের হাওয়া সাগরের দিকে ছুটছে। আর এ কারণে গরম বেশি।
গরম বাড়তে থাকলেও এপ্রিল মাসে যেভাবে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপর গেছে, এ মাসে তেমন না হওয়ার সম্ভাবনা বেশি বলে মনে করেন আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশীদ। আজ তিনি বলেন, গরম বেশি অনুভূত হওয়ার কারণ, বাতাসে আর্দ্রতা বেশি। তিনি জানান, আরও অন্তত দু–তিন দিন এমন গরম থাকতে পারে।