চট্টগ্রামে ভোর থেকে বন্দর কার্যক্রম শুরু, উড়বে বিমান
প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’র প্রভাব কাটিয়ে উঠায় মহাবিপদ সংকেত তুলে নেয়ায় সচল হয়েছ চট্টগ্রাম বন্দরের স্বাভাবিক কার্যক্রম। একই সাথে শুরু হয়েছে চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরের কার্যক্রম।
সোমবার (১৫ মে) ভোর ৬ টা থেকে পন্য উঠা-নামা শুরু হবে। অন্যদিকে বিমান উঠা-নামা শুরু হবে ভোর ৬ টায়। এখন থেকে স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে বলে নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম বন্দর ও চট্টগ্রাম বিমান বন্দর কর্তৃপক্ষ।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের জানিয়েছেন, প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ বাংলাদেশ উপকূল পেরিয়ে মিয়ানমারে গিয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। মহাবিপদ সংকেত তুলে নিয়ে জারি করা হয়েছে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত।
মহাবিপদ সংকেত তুলে নেয়ার খবরে চট্টগ্রাম বন্দরের নিজস্ব ‘এলার্ট-৪’ কমিয়ে ‘এলার্ট-১’ এ নামানো হয়েছে। বন্দরে শুরু হয়েছে স্বাভাবিক কার্যক্রম। জেটিতে জাহাজ ভিড়লে শুরু হবে পণ্য খালাসও।
সূত্র জানায়, জিসিবি, এনসিটি, সিসিটি, ডলফিন জেটি, ওয়াটার বাস টার্মিনালসহ বিভিন্ন জেটিতে আনার জন্য ২৪টি জাহাজের তালিকা করা হয়েছে। জোয়ারের সময় এসব জাহাজ বহির্নোঙর থেকে জেটিতে আনা হবে।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব ওমর ফারুক বলেন, ‘মহাবিপদ সংকেত তুলে নিয়ে সমুদ্র বন্দরগুলোকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। সে হিসেবে আমাদের এলার্ট-৪ তুলে নেয়া হয়েছে। ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত অনুযায়ী এখন এলার্ট-১ জারি রয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাইনি। বন্দর প্রস্তুত রয়েছে। কেউ চাইলে আমরা পণ্য ডেলিভারি দেব। তবে কাল জোয়ারের সময় জেটিতে জাহাজ ভিড়বে। তখন জাহাজ থেকে পণ্য খালাস শুরু হবে। এখন অন্যান্য স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
এদিকে মহাবিপদ সংকেত তুলে নেয়ার খবরে সচল হয়েছে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরও। সোমবার সকাল ৬টায় এখানে শুরু হচ্ছে বিমান উঠা-নামা।
চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের ব্যবস্থাপক গ্রুপ ক্যাপ্টেন তাসলিম আহমেদ বলেন, ‘মহাবিপদ সংকেত তুলে নেয়ায় আমাদের কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। সকাল ৬টা থেকে এখানে বিমান উঠা-নামা শুরু হবে।’
এর আগে আবহাওয়া অধিদপ্তরের ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরে নিজস্ব ‘অ্যালার্ট-৪’ জারি করা হয়। আবহাওয়া অধিদপ্তরের সতর্ক সংকেত ৮ বা তার বেশি হলেই নিজেদের সর্বোচ্চ এই এলার্ট জারি করে বন্দর কর্তৃপক্ষ। এই এলার্ট জারি হলে বন্দরের সব কার্যক্রম ক্রমান্বয়ে বন্ধ করে দেয়া হয়।
শুক্রবার রাতেই ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে পরদিন সকাল ৬টা থেকে রোববার রাত ১২টা পর্যন্ত শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমান উঠা-নামা বন্ধ ঘোষণা করে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।