এক মাসের ব্যবধানে দ্বিগুণ দামে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ

ছবি: সংগৃহীত

এক মাস আগেও বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ছিল ৩৫ থেকে ৪০ টাকা। প্রায় দ্বিগুন দাম বেড়ে এখন সে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়।ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্যমতে, বর্তমানে দেশের বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬৫ থেকে ৭০ টাকায়। এক মাস আগেও বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৩০ থেকে ৪০ টাকায়।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, উৎপাদন মৌসুমে কৃষকের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে গত মার্চের মাঝামাঝি থেকে বন্ধ পেঁয়াজ আমদানি। এরপর কিছুদিন দাম নিয়ন্ত্রণে থাকলেও শেষ এক মাস পেঁয়াজের দাম বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে।

রোববার (১৪মে) দুপুরে সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধি বিষয়ে করণীয় নির্ধারণসংক্রান্ত সভায় কৃষি সচিব ওয়াহিদা আক্তার বলেন, উৎপাদন ও মজুত বিবেচনায় দেশে এ মুহূর্তে পেঁয়াজের দাম বাড়ার কোনো কারণ নেই। অথচ বাজারে দাম কিছুটা বেশি। কৃষি মন্ত্রণালয় বাজার পর্যবেক্ষণ করছে। দাম বাড়তে থাকলে শিগগির পেঁয়াজ আমদানির বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি বছর ২ লাখ ৪১ হাজার ৯০০ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের আবাদ করা হয়েছে। পেঁয়াজ উৎপাদন হয়েছে ৩৪ লাখ টনের বেশি। বর্তমানে মজুত আছে ১৮ লাখ ৩০ হাজার টন। কিন্তু উপযুক্ত সংরক্ষণের অভাবে নষ্ট হয়ে যায় ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ পেঁয়াজ।

যে পরিমাণ পেঁয়াজ উৎপাদন হয়েছে তাতে সংকট হওয়ার কথা নয়। এ ছাড়াও মৌসুম শুরুর আগে চলতি অর্থবছরে পেঁয়াজ আমদানি উন্মুক্ত ছিল। দেশে এ পর্যন্ত কয়েক লাখ টন পেঁয়াজ এসেছে। দেশে বছরে পেঁয়াজের চাহিদা রয়েছে ২৬ থেকে ২৮ লাখ টন।

২০১৭-১৮ অর্থবছরে দেশে ৮ লাখ ৬৩ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানি করা হয়। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে করা হয় ১০ লাখ ৭ হাজার টন। ২০২০-২১ ও ২০২১-২২ অর্থবছরে তা কমে দাঁড়ায় ৫ লাখ ৫৩ হাজার টন ও ৬ লাখ ৬৫ হাজার টনে। 

Sign up for the Newsletter

Join our newsletter and get updates in your inbox. We won’t spam you and we respect your privacy.