ঘূর্ণিঝড় মোখার তাণ্ডবে মিয়ানমারে নিহত বেড়ে ৮১

ছবি: সংগৃহীত

মঙ্গলবার (১৬ মে) স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ও সামরিক জান্তা সমর্থিত একটি গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানায় এনডিটিভি।

গত রবিবার (১৫ মে)প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা মিয়ানমার ও বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানে। মিয়ানমারের আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি যখন দেশের উপকূলে প্রবেশ করে তখন এর সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৯৫ কিলোমিটার।

বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী রাখাইন রাজ্যে ঘূর্ণিঝড় মোখায় অন্তত ৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই লোকেরা বু মা ও নিকটবর্তী খাউং ডোকে কর নামে দুটি গ্রামের বাসিন্দা ছিল। বিধ্বস্ত জনপদে পরিণত হওয়া দুটি গ্রামে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলমান বসবাস করে।

মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যম এমআরটিভি জানিয়েছে, রাখাইন রাজ্যের রাজধানী সিত্তের কাছে একটি বৌদ্ধ বিহারে ঘূর্ণিঝড় মোখা ধসে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া পাশের আরেকটি গ্রামে ভবন ধসে আরও এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। সিত্তের নিকটবর্তী সেই গ্রামের নাম বু মা।

ওই গ্রামের প্রধান কার্লো জানান, মৃতের সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে। কারণ, এখনো শত শত মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন। আবুল হোসেন (৬৬) নামে এক ব্যক্তি তার মেয়ের কবর জিয়ারত করছিলেন। মঙ্গলবার সকালে আবুল হোসেনের মেয়ের লাশ উদ্ধার করা হয়।


তিনি বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়ের সময় আমি অসুস্থ ছিলাম। এর জন্য নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিতে পারিনি। আমরা যখন নিরাপদ স্থানে যাওয়ার কথা ভাবছিলাম, তখনই ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে।’ এক দশকের মধ্যে এই অঞ্চলে আঘাত হানা সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় মোখা। এর প্রভাবে অনেক ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। 

অনেক গাছ উপড়ে পড়েছে। রাখাইনের বেশির ভাগ এলাকায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। ২০০৮ সালে ঘূর্ণিঝড় নার্গিস মিয়ানমারের ইরাবতী নদীর বদ্বীপের আশেপাশের জনবহুল এলাকা ধ্বংস করে দেয়। মৃত্যু হয়েছে অন্তত ১ লাখ ৩৮ হাজার মানুষের। হাজার হাজার ঘরবাড়ি ও অন্যান্য স্থাপনা ভেসে গিয়েছিলো।

Sign up for the Newsletter

Join our newsletter and get updates in your inbox. We won’t spam you and we respect your privacy.