চাকরি ফেরত চান শেভরনের কর্মচারীরা

চাকরিচ্যুতির আদেশ বাতিল করে স্বপদে পুনর্বহাল এবং চাকরি স্থায়ী করার দাবি জানিয়েছেন শেভরন বাংলাদেশ ব্লকস থার্টিন অ্যান্ড ফরটিন লিমিটেডের চাকরিচ্যুত শ্রমিকরা। তাদের অভিযোগ, শ্রম আদালতে মামলা চলাকালে ‘বেআইনিভাবে’ তাদের ১৩০ জনকে মোবাইলে মেসেজের মাধ্যমে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। চাকরিচ্যুতির আগে তাদের কোনো প্রকার কাগজপত্র বা সাসপেনশন লেটার দেওয়া হয়নি।

রোববার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনী মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এসব দাবি জানান।

তারা বলেন, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক তেল ও গ্যাস উত্তোলনকারী প্রতিষ্ঠান শেভরন কোম্পানির অধীনে তারা মৌলভীবাজার গ্যাস প্ল্যান্ট, বিবিয়ানা গ্যাস প্ল্যান্ট, জালালাবাদ গ্যাস প্ল্যান্ট ও ঢাকা অফিসে কর্মরত। শেভরন নিয়োগের সময় তাদের স্থায়ী শ্রমিক হিসেবে নিয়োগপত্র, সার্ভিস বই এবং কোম্পানির লাভের পাঁচ শতাংশ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। তবে ২০০৬ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত কোম্পানির উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা লভ্যাংশ পেলেও সাধারণ শ্রমিকেরা কোনো লভ্যাংশ পায়নি। অধিকন্তু কোম্পানিতে তাদের চাকরির বয়স ১২ থেকে ২৪ বছর হলেও নিয়মানুযায়ী তাদের চাকরি স্থায়ী করা হয়নি।

তারা আরও বলেন, এসব কারণে তারা চারশ’ জনের অধিক কর্মকর্তা শেভরন লিমিটেডের বিরুদ্ধে মামলা করে। শ্রম আদালতে মামলা চলছে। শ্রম আইনের ২২৮(১) ধারা মতে শ্রম আদালতে কোনো কার্যক্রম চলাকালে বিরোধে যুক্ত কোনো শ্রমিকের চাকরির শর্তাবলীতে কোনরূপ পরিবর্তন করা যাবে না। কিন্তু শেভরন উক্ত বিধান লঙ্ঘন করে চার দফায় ১৩০ জন মামলার বাদী শ্রমিককে চাকরিচ্যুত করেছে।

তাদের অভিযোগ, ‘শেভরন বাংলাদেশ এমপ্লয়ীজ ইউনিয়ন’ নামে শেভরন বাংলাদেশের একটি ট্রেড ইউনিয়ন রয়েছে। শ্রমিকদের নিয়ে ট্রেড ইউনিয়ন করার কথা থাকলেও ট্রেড ইউনিয়নে মূলত উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, ম্যানেজার, প্রশাসনিক কর্মকর্তা এবং সুপারভাইজাররা আছেন। সেখানে কোনো শ্রমিক নেই। যেটি বাংলাদেশ শ্রম আইনের ২(৬৫), ১৭৫, ১৭৬, ১৭৯ ধারার স্পষ্ট লঙ্ঘন।

তারা শেভরন স্বপদে পুনর্বহাল, প্রথম যোগদানের তারিখ বিবেচনায় স্থায়ী শ্রমিক হিসেবে স্বীকৃতি, নিয়োগপত্র ও সার্ভিস বই দেওয়া এবং কোম্পানির মুনাফার অংশ আনুপাতিক হারে দেওয়ার দাবি আদায়ে প্রধানমন্ত্রী, জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী ও শ্রম মন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

সংবাদ সম্মেলনে শেভরনের কর্মী মুসফেক উস সালেহীন খান, জুয়েল মাইকেল গোমেজ, আব্দুর রহমান, জয় মামুন, নিক্সন রোজারিও, সাইদুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Sign up for the Newsletter

Join our newsletter and get updates in your inbox. We won’t spam you and we respect your privacy.