নির্বাচন ঘিরে কিছু রাষ্ট্র অসংলগ্ন কথা বলছে, সংসদে ফারুক খান

ছবি: সংগৃহীত

সরকারি দলের সংসদ সদস্য ফারুক খান বলেছেন, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কিছু বিদেশি রাষ্ট্র অসংলগ্ন কথা বলছে। ভিসা নীতি পরিবর্তন করছে। নির্বাচন বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। এখানে কারো হস্তক্ষেপ করা উচিত নয়।

বিদেশি দেশগুলো এসব থেকে বিরত থাকবে‒ এমন আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে তাদের দেশে ভালো কিছু থাকলে নির্বাচন কমিশনকে পরামর্শ দিতে পারে। তারা কাকে ভিসা দেবে আর কাকে নিষেধাজ্ঞা দেবে এসব ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। করোনাসহ নানা চ্যালেঞ্জ সরকার সফলতার সঙ্গে মোকাবিলা করেছে। কীভাবে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হয় সরকার জানে।

বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে ফারুক খান এসব কথা বলেন। এর আগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু হয়।

তিনি বলেন, বিএনপিসহ যারা বাজেটের সমালোচনা করছেন তাদের এত বড় বাজেট ধারণ করার সক্ষমতা নেই। বাজেটকে না বুঝে তারা সমালোচনা করছেন। তাদের এই সমালোচনাকে গুরত্ব দেওয়ার কোনো কারণ নেই।

বিএনপির সমালোচনা করে ফারুক খান বলেন, তারা ২০১৪ সালের মত জ্বালাও-পোড়াও, প্রিসাইডিং কর্মকর্তাকে হত্যা করে ভোট বন্ধের ষড়যন্ত্র করছে। কিন্তু এটা সম্ভব হবে না। তারা কোনোভাবেই নির্বাচন বন্ধ করতে পারবে না। জনগণকে ভোট থেকে বিরত রাখতে পারবে না। তলে তলে বিএনপিও ভোটের প্রস্তুতি নিচ্ছে, গণসংযোগ করছে।

সরকারি দলের সংসদ সদস্য নুর উদ্দীন চৌধুরী বলেন, গুম-খুন নিয়ে বিএনপি বিদেশিদের কাছে নালিশ করে। এদেশে তারাই গুম খুন শুরু করে। হাওয়া ভবনের দুর্নীতি স্বীকৃত। হাওয়া ভবনের মাধ্যমে দুর্নীতির পাহাড় তৈরি করে। ভরাডুবির ভয়ে বিএনপি নির্বাচন বানচালে ষড়যন্ত্র করছে। তারা হতাশ। সেজন্য তারা জেনে শুনে বুঝে ভোট বানচালের জন্য জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে।

তিনি দাবি করেন, যুক্তরাষ্ট্রকে ভুল তথ্য দিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে বলানো হচ্ছে। আগামী দিনে সুষ্ঠু ভোটের মাধ্যমে জনগণ সেটার জবাব দেবে।

জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য শামীম হায়দার পাটোয়ারি বলেন, হাইকমিশনারদের অতিরিক্ত প্রটোকল সুবিধা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অনেকে বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতির প্রতিক্রিয়ায় সরকার এটি করেছে। সরকারের কোনো রিয়্যাকশন দেখানোর প্রয়োজন নেই।

তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনকে দেখাতে হবে তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কার্যকর প্রতিস্থাপন। তাদের দাঁত আছে, কামড় দিতে পারে। সরকারও ইসিকে সহায়তা করে। এটা হলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি আস্তে আস্তে কমে আসবে।

শামীম হায়দার বলেন, অর্থমন্ত্রী যে বাজেট বক্তৃতা দিয়েছেন তা মূলত রেকর্ডেড ভার্সন। কণ্ঠটাও অর্থমন্ত্রীর না। তিনি নিজে দুই পাতা পড়েছেন।

বাজেটে বিশাল ঘাটতি কীভাবে পূরণ হবে সেই প্রশ্ন রেখে জাতীয় পার্টির এই সংসদ সদস্য বলেন, ১ লাখ ৩২ হাজার কোটি টাকা ব্যাংক থেকে ঋণ নেবে। সব ঋণ সরকার নিলে ব্যবসায়ী, সাধারণ মানুষ কীভাবে ঋণ নেবে। ব্যাংক কোথায় টাকা পাবে? তখন সরকার টাকা ছাপাবে। এতে মূল্যস্ফীতি বাড়বে।

তিনি বলেন, সামনের দিনে মানুষ ব্যাগ ভর্তি টাকা নিয়ে পকেট ভর্তি বাজার করে আসতে পারবে কি-না তা নিয়ে সন্দেহ আছে। ৯ দশমিক ৫ শতাংশ মূল্যস্ফীতি কীভাবে কমাবে তার কোনো নির্দেশনা বাজেটে নেই।

Sign up for the Newsletter

Join our newsletter and get updates in your inbox. We won’t spam you and we respect your privacy.