সেন্টমার্টিন নিয়ে কখনো আলোচনা করেনি যুক্তরাষ্ট্র: ম্যাথু মিলার

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার বলেছেন, ‘আমরা (যুক্তরাষ্ট্র) কখনোই সেন্টমার্টিন দ্বীপ নেওয়ার বিষয়ে কোনো আলোচনা করিনি। আমরা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বকে শ্রদ্ধা করি।’

সেন্টমার্টিন দ্বীপ নিয়ে বাংলাদেশে যা বলা হয়েছে, তা সঠিক নয় মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের অংশীদারত্বকে গুরুত্ব দিই। আমরা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে সমর্থনসহ গণতন্ত্রের উন্নয়নে একসঙ্গে কাজ করে আমাদের সম্পর্ককে জোরদারের চেষ্টা করি।’

সোমবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটে ব্রিফ্রিংয়ে করা প্রশ্ন ও উত্তরগুলো উল্লেখ করা হয়। 

ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশ প্রসঙ্গে আরেক প্রশ্নে বলা হয়, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী গত রোববার ছয়জন মার্কিন কংগ্রেস সদস্যের একটি চিঠির বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তিনি কংগ্রেস সদস্যের শত্রু বলে অভিহিত করেছেন। এ বিষয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রতিক্রিয়া কী?

জবাবে মিলার বলেন, ‘আমি সেই চিঠি দেখিনি। এ বিষয়ে মন্তব্য করার আগে আমি বিস্তারিত পর্যালোচনা করতে চাই।’

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দিকে ইঙ্গিত করে শেখ হাসিনা তখন বলেন, ‘২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় এসেছিল কীভাবে? তখন তো গ্যাস বিক্রির মুচলেকা দিয়েই ক্ষমতায় এসেছিল। তাহলে এখন তারা দেশ বিক্রি করবে? নাকি সেন্টমার্টিন দ্বীপ বিক্রি করার মুচলেকা দিয়ে আসতে চায়?’

গত ২১ জুন গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের কন্যা, আমার হাত দিয়ে এই দেশের কোনো সম্পদ বিক্রি হবে না। কারও কাছে বিক্রি করে ক্ষমতায় আসতে চাই না। ওই গ্যাস বিক্রির মুচলেকা দিলে আমিও ক্ষমতায় থাকতে পারতাম। এখনও যদি বলি সেন্টমার্টিন দ্বীপ বা আমাদের দেশ কাউকে লিজ দেব, তাহলে আমার ক্ষমতায় থাকতে কোনো অসুবিধা নেই, আমি জানি সেটা। কিন্তু আমার দ্বারা সেটি হবে না।’

এ বিষয়ে গত ২২ জুন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘সেন্টমার্টিন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন। বিএনপি কখনো দেশের স্বার্থ বিকিয়ে দেয়নি। সেন্টমার্টিন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী যে বক্তব্য দিয়েছেন সেটা রাজনৈতিক কৌশল। বিএনপি ও জনগণ তাদের শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে হলেও এক ইঞ্চি মাটি কাউকে নিতে দেবে না।’ 

Sign up for the Newsletter

Join our newsletter and get updates in your inbox. We won’t spam you and we respect your privacy.