নির্বাচন বানচাল করতে বিএনপি ষড়যন্ত্রে মেতেছে: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
ছবি: সংগৃহীত
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচাল করতে বিএনপি ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। তিনি বলেছেন, সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন; আর এই নির্বাচন গণতান্ত্রিকভাবেই অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু বিএনপি চায় জনগণের ভোটের অধিকার যেন না থাকে। তারা ভোট চায় না; সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মধ্যে দিয়ে ক্ষমতায় আসতে চায়। এজন্য নির্বাচন বানচাল করতে বিএনপি ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে।
শুক্রবার বিকেলে কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলার লক্ষণপুর বাজারে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক পথসভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
২০১৪ সালের নির্বাচনে অংশ না নিয়ে বিএনপি মানুষের ভোটের অধিকার নষ্ট করেছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, তারা এখন বলে জনগণকে ভোট দিতে দেওয়া হয়নি। যত ষড়যন্ত্র আর বাধা আসুক না কেন সংবিধান অনুযায়ী পৃথিবীর অন্য দেশে যেভাবে নির্বাচন হয়, আগামীতে বাংলাদেশেও সেভাবেই নির্বাচন হবে।
বাংলাদেশ কোনো বিদেশি শক্তির কাছে মাথা নত করবে না উল্লেখ করে মো. তাজুল ইসলাম বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের সময়ও সপ্তম নৌবহর আর অস্ত্র পাঠিয়ে আমাদের বিজয়কে ছিনিয়ে নেওয়ার ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল। কিন্তু বাঙালি সব ষড়যন্ত্রকে মোকাবিলা করেই স্বাধীনতা অর্জন করে। ১৯৭৪ সালে জাহাজভর্তি খাদ্য সাহায্য ফিরিয়ে নিয়ে বাংলাদেশে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির অপচেষ্টা করা হয়েছিল। এখন তারাই আমাদের গণতন্ত্রের ছবক শেখাতে চায়। তাদের কাছে গণতন্ত্র মানে দেশকে পেছনে ফেলা, দেশে সন্ত্রাস কায়েম করা।
মন্ত্রী বলেন, বিএনপি সময়ে খাদ্য ঘাটতি নিয়ে সমালোচনা হলে তৎকালীন অর্থমন্ত্রী জবাব দিয়েছিলেন, তাতে বৈদেশিক সাহায্য প্রাপ্তি সহজ হয়। আর বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা প্রতিবাদ করে বলেছিলেন- ভিক্ষুকের জাতি হওয়ার জন্য ৩০ লাখ লোক শহাদাৎ বরণ করে স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনেনি। বর্তমানে তারা সরকারের সাফল্য দেখেও না দেখার ভান করে। তবে জনগণ তাদের বিরোধিতা আমলে নিচ্ছে না। গত ১৫ বছর বিদ্যুৎ উৎপাদনে সরকারের সফলতাও দেখে না তারা। এজন্য এদেশের জনগণ তাদের বর্জন করেছে।
পথসভায় উপস্থিত ছিলেন- কুমিল্লা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মফিজুর রহমান বাবলু, মনোহরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের সদস্য মাস্টার আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জাকির হোসেন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম, মনোহরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর উন্নয়ন সমন্বয়ক মো. কামাল হোসেন, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য মো. শাহাদাত হোসেন, জেলা পরিষদের সদস্য অ্যাডভোকেট তানজিনা আক্তার, উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক দেওয়ান জসিম উদ্দিন, ছাত্রলীগের সভাপতি কামরুজ্জামান শামীম, সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেন বিপ্লব প্রমুখ