বন্যা পরবর্তীতে নেই উদ্ধার তৎপরতা, নিহত বেড়ে ১৬

টানা ৬ দিনের ভারী বর্ষণে চার দিন পানিবন্দী ছিলো দক্ষিণ চট্টগ্রাম। ডুবে গেছে চন্দনাইশ, সাতকানিয়া, লোহাগাড়ার পুরোটা অঞ্চল। বন্যায় এপর্যন্ত ১৬ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে। এখনও নিখোঁজ রয়েছেন অন্তত ৩ জন।

বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) পর্যন্ত চন্দনাইশে ২, সাতকানিয়ায় ৭ ও লোহাগাড়ায় ৪ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্টরা। চট্টগ্রামে বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় সাতকানিয়া উপজেলা। এই উপজেলার সবটাই পানির নিচে ছিল অন্তত ৩০ ঘণ্টা। সোমবার রাত থেকে বন্ধ থাকে বিদ্যুৎ। যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে। পানিতে তলিয়ে যায় সাতকানিয়া-বান্দরবান সড়কও। দীর্ঘক্ষণ বিদ্যুৎহীন থাকায় বন্ধ হয়ে যায় মোবাইল নেটওয়ার্কও। এতে যোগাযোগ ব্যবস্থায় ধস নামে পুরো অঞ্চলে। নিরাপদ আশ্রয়স্থলে ছুটতে থাকে বন্যাদুর্গতরা। এতে অনেকেই তলিয়ে যায় পানির স্রোতে। মঙ্গলবার থেকে তলিয়ে যাওয়াদের মরদেহ ভেসে উঠতে থাকে।

চট্টগ্রাম জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা ছাইফুল্লাহ মজুমদার জানান, এখন পর্যন্ত বন্যায় চট্টগ্রামের পাঁচ উপজেলায় ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এখনও নিখোঁজ রয়েছেন তিনজন। নিহতদের মধ্যে সাতকানিয়ায় ৬, লোহাগাড়ায় ৪, চন্দনাইশে ২, বাঁশখালী ও রাউজানে একজন করে এবং চট্টগ্রাম মহানগরে ১ জন রয়েছেন। এখন পর্যন্ত সাতকানিয়ায় ৩ জন নিখোঁজ রয়েছে। এদিকে চন্দনাইশেও একজন নিখোঁজ থাকার কথা জানিয়েছেন থানার ওসি আনোয়ার হোসেন।

তবে সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিল্টন বিশ্বাস বলেন, ‘সাতকানিয়া উপজেলায় ৬ জন নিহত ও ৩ জন নিখোঁজ ছিল। বিকেলে নিখোঁজ তিনজনের মধ্যে একজনের মরদেহ পাওয়া গেছে। এখন নিহত মোট ৭ জন ও নিখোঁজ ২ জন।’

দক্ষিণ চট্টগ্রামে ভয়াবহ বন্যায় মানবিক বিপর্যয়ের সৃষ্টি হলেও উদ্ধার তৎপরতায় খুব বেশি জোর দেখা যায়নি। স্থানীয়দের অভিযোগ, সাতকানিয়া-লোহাগাড়ায় এখনও পানিবন্দী লক্ষাধিক মানুষ। পেশাগত কারণে এলাকার বাইরে থাকা অনেকেই এখনও স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না। জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. ছাইফুল্লাহ মজুমদার বলেন, ‘আমরা নিহতদের তথ্য সংগ্রহ ও ত্রাণ কর্যক্রম নিয়ে ব্যস্ত আছি। উদ্ধার তৎপরতায় সেনাবাহিনী রয়েছে।’

Sign up for the Newsletter

Join our newsletter and get updates in your inbox. We won’t spam you and we respect your privacy.