ইতিহাস গড়া জয়ে চ্যাম্পিয়ন ভারত
অষ্টমবারের মতো এশিয়া কাপ জেতার পর ভারতীয় খেলোয়াড়দের উল্লাস। ছবি: এএফপি
প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামের গ্যালারিভরা শ্রীলঙ্কান সমর্থক। নিজেদের মাঠে শ্রীলঙ্কার আরেকটি এশিয়া কাপ জয়ের সাক্ষী হতেই হয়তোবা এসেছিলেন তাঁরা। কিন্তু মাঠে দাসুন শানাকারা যেন মুদ্রার উল্টো পিঠ দেখালেন। ড্রেসিংরুম থেকে শ্রীলঙ্কান ব্যাটারদের আসা-যাওয়ার দৃশ্য দেখেই সন্তুষ্ট থাকত হলো সমর্থকদের।
ওয়ানডে সংস্করণে কোনো টুর্নামেন্টের ফাইনালে সর্বনিম্ন স্কোর–৫০ রানে অলআউট হয়েছে শ্রীলঙ্কা। জবাবে শুভমান গিল ও ইশান কিষান ৬.১ ওভারেই ভারতকে ১০ উইকেটের জয় এনে দেন। তাতে এশিয়া কাপে এ নিয়ে ৮ম বার চ্যাম্পিয়ন হলো ভারত। গিল ১৯ বলে ২৭ এবং কিষান ১৮ বলে ২৩ রানে অপরাজিত থাকেন।
এশিয়া কাপের ইতিহাসে উইকেটের দিক থেকে এটাই সবচেয়ে বড় ব্যবধানের জয়। তা–ই নয়, বলের দিক থেকেও যেকোনো টুর্নামেন্টের ওয়ানডে ফাইনালে সবচেয়ে বড় জয়ও এটি–২৬৩ বল হাতে রেখে।
এশিয়া কাপের ইতিহাসে এটাই সবচেয়ে চেয়ে কম দৈর্ঘ্যের ম্যাচও। ২১.৩ ওভারে শেষ হয়ে গেল ম্যাচ। মোহাম্মদ সিরাজের ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৫.২ ওভারেই ৫০ রানেই অলআউট হয়ে যায় শ্রীলঙ্কা। ভারতের বিপক্ষে যেকোনো দলের এটাই সর্বনিম্ন স্কোর।
প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে ৫০ রানে আউট হয়ে বাংলাদেশের লজ্জাও যেন ভুলিয়ে দিল শ্রীলঙ্কা। এশিয়া কাপে এর আগে সর্বনিম্ন স্কোরটি ছিল বাংলাদেশের। ২০০০ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৮৭ রানে অলআউট হয়েছিল তারা। সব মিলিয়ে ওয়ানডে সংস্করণে লঙ্কানদের এটি দ্বিতীয় সর্বনিম্ন স্কোর। এর আগে ২০১২ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৪৩ রানে অলআউট হয়েছিল তারা।
সংযুক্ত আরব আমিরাতে সর্বশেষ এশিয়া কাপে পাকিস্তানকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল শ্রীলঙ্কার। আজ প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে ট্রফি ধরে রাখার মিশনে ভারতের বিপক্ষে টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমেছিল শ্রীলঙ্কা। কিন্তু ট্রফি ধরে রাখার মতো কোনো পারফরম্যান্সই করতে পারেননি লঙ্কান ব্যাটাররা।
ভারতের পেসারদের তোপ দাগানো বোলিংয়ে ১২ রানেই ৬ উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। তিনে ব্যাটিংয়ে নামা কুশল মেন্ডিসের ১৭ ও টেলএন্ডার দুশান হেমন্তর ১৩ রানের সৌজন্যে স্কোরটা ৫০ হয়। ৭ ওভারে মাত্র ২১ রান দিয়ে ৬ উইকেট নিয়েছেন ভারতের পেসার সিরাজ। হার্দিক পান্ডিয়া ৩ রানে ৩ উইকেট এবং জাসপ্রিত বুমরা নিয়েছেন একটি উইকেট। এশিয়া কাপের ইতিহাসে পাকিস্তানের পর ১০ উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব দেখালেন ভারতের পেস বোলাররা।