সভা-সমাবেশের সিদ্ধান্ত দেবেন রিটার্নিং কর্মকর্তা

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিভিন্ন দল বা প্রার্থীর করা সভা-সমাবেশের অনুমতি চেয়ে আবেদনের প্রেক্ষিতে সিদ্ধান্ত রিটার্নিং কর্মকর্তাকেই দিতে বললো নির্বাচন কমিশন (ইসি)। মঙ্গলবার (০৫ ডিসেম্বর) সংস্থাটি এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দিয়েছে।

এর আগে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে ১০ ডিসেম্বর সমাবেশ করতে অনুমতি চেয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তাকে চিঠি দেয়। রিটার্নিং কর্মকর্তা সেই আবেদনের ওপর ইসির সিদ্ধান্ত চান। নির্বাচন কমিশন দলটির আবেদন নাকচ করার সঙ্গে রিটার্নিং কর্মকর্তাকে ওই নির্দেশনা দেয়। এতে বলা হয়, এ ধরনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত দিতে রিটার্নিং অফিসার নিজেই ক্ষমতাবান এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের বিষয় নির্বাচন কমিশনে না পাঠানোর জন্য অনুরোধ করা হলো।

ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ জানিয়েছেন, ৩০০ আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল হয়েছিল দুই হাজার ৭১৬টি। এর মধ্যে বাছাইয়ের সময় রিটার্নিং কর্মকর্তারা বাতিল করেছেন ৭৩১টি, যা মোট দাখিলকৃত মনোনয়নপত্রের ২৬ দশমিক ৯২ শতাংশ বা ২৭ শতাংশ। আর বৈধ হয়েছে এক হাজার ৯৮৫টি মনোনয়নপত্র, যা দাখিলকৃত মনোনয়নপত্রের ৭৩ দশমিক ০৮শতাংশ বা ৭৩ শতাংশ।

আগামী ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রার্থীরা রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারবেন। আর ১০ থেকে ১৫ ডিসেম্বর আপিল নিষ্পত্তি করবে নির্বাচন কমিশন। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর। রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রতীক বরাদ্দ করবেন ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনী প্রচার চলবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। আর ভোটগ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি (রোববার)।

Sign up for the Newsletter

Join our newsletter and get updates in your inbox. We won’t spam you and we respect your privacy.