এলসির শর্ত প্রত্যাহার করেছে ফরাসি ক্রেতা প্রতিষ্ঠান

ছবি: সংগৃহীত

সম্প্রতি একটি পোশাক কারাখানা কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো ক্রেতা প্রতিষ্ঠানের ঋণপত্রের (এলসি) ধারায় জুড়ে দেওয়া শর্ত প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। ‘কারিবান’ নামে একটি ফরাসি ক্রেতার পক্ষ থেকে নারায়ণগঞ্জভিত্তিক নিট কনসার্ন কারখানার এলসির ক্ষেত্রে ওই ঘটনাটি ঘটে, যা জেডএক্সওয়াই ইন্টারন্যাশনালের পক্ষ থেকে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক দুবাই থেকে জারি করা হয়।

বৃহস্পতিবার কারিবানের পক্ষ থেকে এ সংক্রান্ত একটি স্পস্টিকরণপত্র দেওয়া হয়। ধারাটি প্রত্যাহার করতে দুবাইয়ের স্ট্যান্ডার্ড চাটার্ড ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

একই বিষয়ে বৃহস্পতিবার বিজিএমইএর পক্ষ থেকেও পৃথক বিবৃতি দেওয়া হয়। এতে  সংগঠনের সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, ‘জেডএক্সওয়াই এর জারি করা একটি মাস্টার এলসির বিপরীতে নিট কনসার্নকে ওই শর্তটি দেওয়া হয়েছিল। বিজিএমইএ এলসির কপি সংগ্রহ করেছে। পাশাপাশি এলসির শর্তের বিষয়ে বিজিএমইএ জেডএক্সওয়াই এর কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে। 

এ ব্যাপারে জেডএক্সওয়াই এবং মূল ক্রেতা কারিবানের কাছ থেকে বক্তব্য পেয়েছে। এতে দেখা যায়, কারিবান জেডএক্সওয়াই ইন্টারন্যাশনালের অনুকুলে তার মাস্টার এলসিতে এই ধারাটি সন্নিবেশিত করেনি। ধারাটি স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক দুবাই দ্বারা সন্নিবেশিত করা হয়েছিল, যা তারা ৩০ নভেম্বর ২০২২ সাল থেকে প্রতিটি এলসিতে করে আসছে। ধারায় কোথাও বলা নেই যে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কোনো নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এছাড়া জেডএক্সওয়াই ইন্টারন্যাশনাল নিশ্চিত করেছে যে তারা এলসি এর ধারাটি সরিয়ে ফেলবে এবং ওই ধারাটি ছাড়াই একটি নতুন এলসি ইস্যু করবে। সুতরাং, এলসি ধারার কারণে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হতে পারে বলে যে ধারণা তৈরি হয়েছে তা ভিত্তিহীন। 

এই বাস্তবতায় বাণিজ্যে জটিলতা সৃষ্টি এবং বিভ্রান্তি তৈরি না করতে সব ব্র্যান্ড এবং ক্রেতা প্রতিষ্ঠান ও তাদের এজেন্টদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন বিজিএমইএ সভাপতি। এ ধরনের ধারা থাকা কোনো এলসি গ্রহণ না করা এবং প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট ক্রেতা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য বিজিএমইএর সদস্য কারখানাগুলোর প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।

প্রসঙ্গত, আন্তর্জাতিক শ্রম সংক্রান্ত যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নীতির কারণে নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়লে তাদের অর্ডার দেওয়া নেবে না কিংবা অর্থ পরিশোধ করেব না–এমন শর্ত যুক্ত করে বাংলাদেশের একটি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানকে ঋণপত্র বা এলসি দিয়েছে একটি ক্রেতা প্রতিষ্ঠান। 

পণ্য জাহাজীকরণের পরও নিষেধাজ্ঞা আরোপের কোনো ঘটনা ঘটে তাহলেও অর্থ দেওয়া হবে না বলে জানায় ক্রেতা প্রতিষ্ঠানটি। এ নিয়ে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশের পর রপ্তানিকারক উদ্যেক্তাদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়।

Sign up for the Newsletter

Join our newsletter and get updates in your inbox. We won’t spam you and we respect your privacy.