পেঁয়াজে ঝাঁজ বাড়ছেই, কেজি তিনশ’ ছুঁই ছুঁই

বেড়েই চলছে পেঁয়াজের ঝাঁজ। খুচরায় রোববার বেশিরভাগ দোকানে আড়াইশ’ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ। কোথাও কোথাও ২৮০ টাকায় উঠেছে। ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের পর ৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে পাইকারিতেই পেঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজিতে ১৪০ টাকার বেশি।

রাজধানীর শ্যামবাজারে সকালে দেশি পেঁয়াজ পাইকারি বিক্রি হয়েছে ২১০ টাকা কেজি। আগাম নতুন দেশি পেঁয়াজ এবং আমদানিকৃত পুরোনো মজুদের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা কেজি। কারওয়ান বাজারে দেশি পেঁয়াজ ২০০ আর আমদানির স্টক বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকা কেজি।

এই অবস্থায় বাজারে পেঁয়াজের দাম নিয়ে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ছেন ক্রেতা-বিক্রেতারা। ক্রেতারা বলছে, শুক্রবার সকালেও যে পেঁয়াজ ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে, সেটি কি করে দুই দিনের মধ্যে দ্বিগুণের বেশি হলো। বিক্রেতাদের একটা কথা, পাইকারিতে বাড়লে তাদের কিছু করার নেই।

ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করেছে, এমন খবর আসা মাত্র রীতিমতো যেন দেশের বাজার জুড়ে পেঁয়াজ নিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। শনিবার সকালেই ঢাকায় বাজারে দেখা যায়, ২৪ ঘণ্টা না পেরুতেই সব রকম পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৮০ থেকে ১০০ টাকা বেড়ে গেছে। আরও ২৪ ঘণ্টায় সেটি এখন তিনশ ছুঁই ছুঁই।

এই পরিস্থিতিতে, মুড়িকাটা পেঁয়াজ ও গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ বাজারে আসা শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়। রোববার মন্ত্রণালয়টির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, প্রতি বছর মুড়িকাটা পেয়াঁজ আবাদ হয় প্রায় ৫০ হাজার হেক্টর জমিতে এবং উৎপাদন হয় প্রায় ৮ লাখ টন।

আর এ বছর গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ আবাদ হয়েছে প্রায় ৫০০ হেক্টর জমিতে, উৎপাদন হবে প্রায় ৫০ হাজার টন। এই মুড়িকাটা ও গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ বাজারে আসা শুরু হয়েছে এবং বাজারে থাকবে ৩ থেকে সাড়ে তিন মাস। এরপর মূল পেয়াঁজ আসা শুরু হবে এবং উৎপাদন হতে পারে প্রায় ২৬ থেকে ২৮ লাখ টন।

এদিকে, পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে কালোবাজারি, মজুতদার ও বেশি দামে বিক্রিকারীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে বলে জানিয়েছে ডিবি প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। রোববার দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

Sign up for the Newsletter

Join our newsletter and get updates in your inbox. We won’t spam you and we respect your privacy.